র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন  © সংগৃহীত

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারকে ডেকে পাঠানো হয় এবং এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। 

আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দুঃখজনক। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি নিজেও সারপ্রাইজ।

আরও পড়ুন- বেনজীর ও র‍্যাবের ডিজিসহ ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে র‌্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে।

ট্রেজারি বিভাগের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কর্মকর্তারা হলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ (র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক), র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান।

র‍্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তাসহ বিশ্বের ১০ প্রতিষ্ঠান ও ১৫ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এছাড়া চীন, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  বিশ্বসেরাদের তালিকায় হাবিপ্রবির ১৪ গবেষক

এদিকে, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও র‍্যাব–৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। বাংলাদেশের এ দুজন ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের ১০ কর্মকর্তার ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!