হাফ ভাড়ার আইন করার দাবি রুমিন ফারহানার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০২:৪৩ PM , আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০২:৪৩ PM
শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি গণপরিবহনেও হাফ ভাড়া প্রচলনে আইন করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তা দেওয়ার দাবির সঙ্গে সঙ্গে হাফপাসের একটা দাবি বহুদিন শিক্ষার্থীরা করছেন। অর্থাৎ অর্ধেক ভাড়ায় যেন শিক্ষার্থীরা চলতে পারে। সম্প্রতি সময়ে দেশের শহর এলাকার কিছু বাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু এটা নিয়ে কোনো আইন বা নীতিমালা না থাকায় ভাড়া বাড়ানোর পরে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
রুমিন ফারহানা বলেন, সম্প্রতি বাস ভাড়া বাড়ানোর পরে মালিকপক্ষ হাফ ভাড়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই জেরে শিক্ষার্থীরা পথে নেমে এসেছে। কিন্তু তাদের ওপর ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ৩ বছর আগে যখন আন্দোলন হয়েছিল, তখন হেলমেট পরা তারা চেহারা লুকানোর চেষ্টা করেছিল। এবার যখন ঝাঁপিয়ে পড়ল কারো হেলমেট পরা দেখিনি।
আইন মেনে ব্যবসা করতে হয় ব্যবসায়ীদের জানিয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, সরকার বলে বেসরকারি গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের নেই। কথাটি সঠিক বা সত্য নয়। কারণ সরকার যদি ব্যবসার জন্য কোনো আইন করে সেটা মেনে নিয়ে ব্যবসা করতে হয় ব্যবসায়ীদের।
তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি পরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার আইন করতে পারে। সেক্ষেত্রে সবাইকে সেটা মানতে হবে। শুধু শহর এলাকার বাসে নয়, সব গণপরিবহনে অবলিম্বে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া দিয়ে যাতায়াতের আইনি বিধান করা হোক।
মহাসড়ক তৈরিতে অতিরিক্ত ব্যয়ে সমালোচনা করেন রুমিন ফারহানা বলেন, শুধু পাশের দেশ ভারত কিংবা চীন নয়, ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের সড়ক নির্মাণে বেশি ব্যয় হয়। সেই কারণে এই দেশের মহাসড়ক পৃথিবীর মহাসড়ক বলে মনে হয় না। ভীনগ্রহের মহাসড়ক হতে পারে। ঢাকা-ভাঙ্গা-মাওয়া মহাসড়কের কিলোমিটার প্রতি ব্যয় হয়েছে দুশত কোটি টাকা। যা পৃথিবীতে নজিরবিহীন।
সাজা কমানো হয়নি বলে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী যে দাবি করেছেন সে প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ওয়েবসাইটের খসড়া আইনে দেখলাম, ১০৫ ধারায় আছে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। নতুন সুপারিশে কারাদণ্ড ৫ বছর রেখে জরিমানা কমিয়ে তিন লাখ টাকা রাখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।