শীতে করোনা মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতের আগমনে দেশে আবারো করোনাভাইরাস যাতে মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শীত মৌসুমের আগে তাঁর ত্রাণ গুদামের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)-র দুঃস্থদের জন্য ২৬ লাখ ৪৫ হাজার কম্বল গ্রহণ কালে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দেওয়া ভাষণে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখা যাচ্ছে যখনই আবার শীতকাল আসছে পৃথিবীর সবদেশেই কিন্তু আবার করোনাভাইরাস দেখা দিচ্ছে। ইউএসএ, ইংল্যান্ড বা ইউরোপের দেশগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশের সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আমি অনুরোধ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ৩৭টি বেসরকারি ব্যাংকের কাছ থেকে এই কম্বল গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০ লাখ টাকার চেকও গ্রহণ করেন। বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বিভিন্ন ব্যাংক চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শীতকাল আসলেই একটু ঠান্ডা লাগে, সর্দি, কাশি হয়। আর এটা হলেই এই করোনাভাইরাসটা আমাদের সাইনাসে গিয়ে বাসা বানাতে পারে। কাজেই, সেইদিকে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং খাদ্য তালিকায় ‘ভিটামিন সি’ যাতে একটু বেশি থাকে এবং যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে নজর দিতে হবে।’

তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার পরে কারো করোনা হলে তার হয়তো ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হবে না। তবে, তার থেকে ছড়াতে পারে, তাই মাস্কটা ব্যবহার করতেই হবে। সবাইকে সতর্ক করার বিষয়ে প্রচার-প্রচারণাটা দরকার। একটু সতর্ক হলে এই করোনাভাইরাস আর বাংলাদেশের মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। টিকা সংগ্রহ করে সারা দেশে টিকদান অব্যাহত রয়েছে এবং আজকেও সারা দেশে ৮০ লাখ টিকাদানের কার্যক্রম চলছে।

‘‘ছাত্র সমাজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। কেউ বাদ যাবে না, নীতিমালা অনুযায়ী যারা টিকা পাবার যোগ্য বাংলাদেশের সেই সব মানুষই টিকা পাবে এবং আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় নাগাদ আমরা সকল মানুষকেই টিকা দিতে সক্ষম হব।’’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসলেও সরকার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশে কোনোকিছু যাতে স্থবির না হয় এবং সচল থাকে। সেদিক থেকে আমি মনে করি বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ