শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা থাকা উচিত: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২১, ১০:২৭ AM , আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১, ১১:১০ AM
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা শনাক্তের ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
একই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কোর্সের মেয়াদ ও সিলেবাস কমানো এবং করোনায় আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা করার পক্ষেও মত দিয়েছেন এই চিকিৎসক।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) এফডিসিতে ‘করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে কি না’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক করোনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে। সম্ভব হলে করোনা আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যায়ভার সরকার করতে পারলে ভালো হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য আরও বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। গ্রাম পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম ও ভ্যাকসিন প্রদান চালিয়ে যাওয়া উচিত।
আগামী বছর মার্চের মধ্যে ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে জানিয়ে ডা. শারফুদ্দিন বলেন, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এছাড়া এর আওতায় থাকবে ১২-১৮ বছরের বয়সীরাও।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ও প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়নি উল্লেখ করে কিরণ বলেন, সরকারের করোনা খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ থাকা সত্বেও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ও প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়নি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস নেওয়াসহ সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নের সক্ষমতা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেই।
এসময় তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দ্রুত করোনার টিকা দেওয়ার দাবি জানান।