যে কারণে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে নয় পরামর্শক কমিটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২১, ০৮:০৬ AM , আপডেট: ০৭ জুন ২০২১, ০৮:২৩ AM
লকডাউনের মেয়াদ আরও এক দফা বাড়িয়ে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত করেছে সরকার। ফলে ঘোষণা থাকলেও আগামী ১৩ জুন খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে খুলবে তা শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে জাতীয় পরামর্শক কমিটির অনড় অবস্থানের কারণে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না বলে দায়িত্বশীলরা মনে করছেন। লকডাউন বাড়িয়ে রোববার (৬ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সম্মত হচ্ছে না জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। সে কারণে আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিধিনিষেধ বাড়ায় ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না। বিধিনিষেধ উঠে গেলে এর পরদিন অথবা অন্য কোনও দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। পরবর্তীতে আলোচনা করে সময় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামা প্রয়োজন। কিন্তু চলমান লকডাউন আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
রোববার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা কমলেও শনাক্ত রোগী বেড়েছে।এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ১ হাজার ৬৭৬ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
আবারো পেছাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যেই সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী করোনা সংক্রমণের কারণে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের চলমান ছুটিও আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ খুলে দেয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে এসময় তিনি জানান। পরে করোনার টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।