ধাপে ধাপে নয়, ভিন্নভাবে ছুটি দেওয়ার চিন্তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফের ছুটি বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফের ছুটি বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সরকার  © ফাইল ফটো

করোনার সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টানা ছুটি শেষে আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে হিসেবে ছুটি ফের বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সে ধরনের ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, এবার ভিন্নভাবে ছুটি বাড়াতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ১৫ দিন কিংবা একমাস করে ছুটি বাড়ানো হয়। এ ধারা থেকে বেরিয়ে এবার টানা ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। আগামীকাল শুক্রবার ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের পর করোনা মোকাবিলায় গঠিত পরামর্শক কমিটিসহ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

জানা গেছে, বৈঠকে ধাপে ধাপে ছুটি না দিয়ে ভিন্নভাবে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হবে। সে অনুযায়ী, যখনই করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হবে তার অন্তত একমাস বা ১৫ দিন আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে দোলাচল থাকবে না শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে। ফলে গুজব ঠেকানো যাবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কি না সে বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যে বৈঠকে হবে। বৈঠকে সবার মতামত নিয়েই সিদ্ধান্ত আসবে। করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেব আমরা।’

এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে কিনা এই বিষয়ে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদের সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করব। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের নভেম্বর থেকে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ১৫ দিন করে ছুটি বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি ভালো হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা থেকে এ ধারায় ছুটি দেওয়া হতো। ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণের হার নেমে আসলে ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও একই কথা বলছেন। এরমধ্যেই সর্বশেষ বুধবারও তিন হাজার ৫৬৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। শনাক্ত রোগী বিবেচনায় গত বছরের জুলাইয়ের পর এটি সর্বোচ্চ শনাক্ত।


সর্বশেষ সংবাদ