শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবার দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জুন ২০২০, ০৫:৫৪ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২০, ০৯:০৫ PM
শিক্ষার্থীদের জন্য সব ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। সদ্য ঘোষিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় আজ সোমবার এ দাবি জানিয়েছে সমিতিটি।
জাতীয় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারির প্রকোপ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট। এ কারণে ব্যবসায়ের গতিবদল হচ্ছে, বদলে যাচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থাও। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এখন অনলাইনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
বেসরকারি শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, বাজেটে মোবাইল কলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব কার্যকর করা হলে তা- মোবাইল ইন্টারনেটের জন্যও প্রযোজ্য হয়েছে। এই প্রস্তাব অনলাইনে পাঠগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হঠাৎ করেই নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।
শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে কল্যাণমুখী জনবান্ধব বাজেটের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব জানানো হয়েছে।
১. মোবাইল কলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্যে এই শুল্ক পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করার জন্যে আমরা জোর অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সব ক্যাম্পাসে উচ্চগতির/উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা বিনামূল্যে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
২. একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্যে ইতোমধ্যে অতি সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেটের ‘বিশেষ শিক্ষা প্যাকেজ’-এর জন্যেও আমরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবর অনুরোধ করেছি। অন্যান্য গ্রাহকের ক্ষেত্রে যেভাবে ইন্টারনেট প্যাকেজ অফার করা হয় সেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাধ্যমে কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বিশেষ প্যাকেজ’ অফার করাও সম্ভব। বিষয়টি আবারও বিবেচনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
৩. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট হারে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করার লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে একটি থোক বরাদ্দ রাখার অনুরোধ করছি। এর মাধ্যমে সাময়িক অর্থ ঘাটতির মুখে সকলের বেতন-ভাতার সুরক্ষা সম্ভব হবে। এই মর্মেও আমরা ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন করেছি। বিষয়টি এখন জরুরী ভিত্তিতে সদয় বিবেচনার জন্য আমরা পূনরায় অনুরোধ করছি।