করোনা: কাঁটাবনের বন্ধ দোকানে বন্দি পশুর কান্না

  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। গত ২৪ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে। ফাঁকা রাজধানীতেও ভেসে আসছে কান্নার আওয়াজ। তবে এ কান্না কোন মানুষের নয়। দেশের সবচেয়ে বড় পশু-পাখিদের মার্কেট থেকে প্রতিদিনই ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকদিন ধরে দোকানে বন্দী হয়ে থাকায় তারা খাবার পাচ্ছে না। ফলে এমন আচরণ করছে।

লকডাউনের ফলে কাঁটাবনের প্রায় শ’খানেক দোকান বন্ধ রয়েছে। আর দোকানগুলোতে আটকা পড়েছে পশু-পাখি। দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই কানে ভেসে আসছে কান্নার আওয়াজ বলে সম্প্রতি এক ব্যক্তি সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্বপন দাস নামের ওই ব্যক্তি শনিবার বিকালে একটি ছবি দিয়ে তার নিচে লিখেছেন, “আপনারা যে ছবিটা দেখছেন তা কাঁটাবনে অবস্থিত পশুপাখি মার্কেটের। আজকে বিকেলে শাহবাগ থেকে ওষুধ আনার জন্য এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এক মর্মান্তিক দৃশ্য চোখে পড়ে। দেখি পশুপাখির বন্ধ দোকান গুলো থেকে আঁটকে থাকা কুকুরগুলো প্রচণ্ড আর্তনাদ করছে। তাদের চিৎকার শুনলে পাষাণহৃদয় মানুষও কষ্ট পাবে। তাদের খাওয়া নেই, দাওয়া নেই। তাদের ছোট ছোট খোপের ভেতরে সেই কবে আটকিয়ে চলে গেছে কে জানে। এই প্রাণীগুলো বাঁচবে কীভাবে?”

এদিকে কাঁটাবনের পশু-পাখিদের বিষয়টি নজরে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জিএস গোলাম রাব্বানীরও। রোববার রাতে তিনি ফেসবুকে জানিয়েছে, ‘আমি ইতিমধ্যে কাঁটাবনের একাধিক পশুপাখির দোকান মালিকের সাথে কথা বলেছি, ওসি শাহবাগসহ প্রশাসনের অন্যান্যদের সাথে কথা বলেছি। প্রাণীগুলোকে দুইবেলা খাবার দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় খোলা রাখতে কোন সমস্যা হবে না। আর লকডাউনের কারণে কেউ অপারগ হলে সেসকল দোকানের পশুপাখির খাবার দেয়ার ব্যবস্থাও করবো ইনশাআল্লাহ।’

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, বন্দি প্রাণীগুলোকে খাবার দেওয়ার সুযোগ তারা দিচ্ছেন।দোকান মালিকদের ডেকে শাটার পুরো না খুলে দিনে অন্তত একবার জীবন্ত পশু পাখিদের খাবার দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারা তাই দিচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence