এফআর টাওয়ারের মালিক গ্রেফতার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০৩:১৬ PM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০৩:১৬ PM
রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নকশা জালিয়াতির মামলায় এবার টাওয়ারটির মালিক এসএমএইচআই ফারুককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে গুলশান-২ থেকে দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক তাকে গ্রেফতার করেন।
এর আগে এফআর টাওয়ার নকশা জালিয়াতির মামলায় টাওয়ারটির তিনটি ফ্লোরের মালিক কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর-উল ইসলামকে গ্রেফতার করে দুদক। রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি টিম রোববার বিকালে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে দুদকের হাজতে রাখা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তাসভীর কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাসভীর-উল ইসলাম। ওই মামলায় জামিনে আছেন তিনি।
নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। এক মামলায় রাজউকের ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯ তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩ তলা করা, ওপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেয়া ও বিক্রি করার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার আসামির তালিকায় তাসভীর ছাড়াও এফআর টাওয়ারের মালিক এসএমএইচআই ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলের নাম রয়েছে। তাসভীরের কোম্পানি ওই ভবনের ২১, ২২ ও ২৩ তলার মালিক।
মামলায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কেএএম হারুন, সাবেক সদস্য রেজাউল করিম তরফদার, সাবেক পরিচালক শামসুল আলম, বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক প্রধান ইমারত পরিদর্শক মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, সহকারী অথরাইজড অফিসার নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী মজিবুর রহমান মোল্লা ও অফিস সহকারী এনামুল হককেও আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় ২৬ জন নিহত হন। এর পর ভবনটি নির্মাণে ত্রুটি, নকশা জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পায় দুদক।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুন নকশা জালিয়াতির অভিযোগে এফআর টাওয়ারের মালিক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।