দুর্গাপূজা উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে গেল ১২শ কেজি ইলিশ

ইলিশ মাছ
ইলিশ মাছ  © টিডিসি

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৯২ কেজি ইলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ইলিশবোঝাই দুটি পিকআপ ভ্যান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে।

রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান যশোরের বেনাপোলের মাহতাব অ্যান্ড সন্স প্রতি কেজি ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার দরে এসব মাছ রপ্তানি করে। আর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের আগরতলার মেসার্স পরিতোষ বিশ্বাস। কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করেছে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সাকিয়াত কনস্ট্রাকশন।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক নেছার উদ্দিন ভূইয়া জানান, দুটি পিকআপ ভ্যানে ৫৩টি বক্সে ১ হাজার ১৯২ কেজি ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। বিকালে আরও কিছু ইলিশ রপ্তানির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মোট ৩৭টি প্রতিষ্ঠান এসব ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৯০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন রয়েছে। দুর্গাপূজা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত রপ্তানি চলবে।’

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ফারুক মিয়া বলেন, ‘তিন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রথম চালানে এক হাজার ১৯২ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়েছে। দুর্গাপূজা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি হবে। তবে বাজারে ইলিশের সংকট থাকায় অনুমোদিত পরিমাণের সব মাছ রপ্তানি সম্ভব নাও হতে পারে।’

উল্লেখ্য, এক সময় উন্মুক্তভাবে ইলিশ রপ্তানি হলেও ২০১২ সালে উৎপাদন সংকটের কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০১৯ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ বিবেচনায় সীমিত পরিমাণে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। গত বছর ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি থাকলেও রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৩০৬ মেট্রিক টন, যা নির্ধারিত পরিমাণের মাত্র ৪৪ ভাগ।


সর্বশেষ সংবাদ