মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে পুলিশ সদস্য, অতঃপর…
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৭ PM , আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৬ PM
রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে পেয়ে স্থানীয়রা লাঠিপেটা করেছেন। এ সময় স্থানীয়দের জেরার মুখে এএসআই দাবি করেন, তিনি ওই নারীকে কলমা পড়ে বিয়ে করেছেন। তবে ওই নারীর স্বামী দাবি করেন, তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। যদিও স্ত্রী জানায়, মুখে মুখে তিনি তালাক দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে মতিহার থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়রা ওই নারী ও এএসআই সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং লাঠিপেটা করছেন। জেরার মুখে এএসআই স্বীকার করেন যে তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে এবং তিনি কলমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। তবে ঘরে থাকা ওই নারীর স্বামী দাবি করেন, তাদের বিচ্ছেদ হয়নি। অন্যদিকে ওই নারী জানান, তিনি মুখে মুখে তালাক দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এএসআই সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ আসার আগেই কয়েকজন তরুণ তাকে লাঠিপেটা করে।
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, এএসআই সোহেল রানার রাতে ডিউটি ছিল এবং তিনি একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের জন্য মতিহার থানা এলাকায় যান। পরে রাত একটার দিকে তার আটকের খবর পাওয়া যায়।
মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, ওই নারীর স্বামী একজন মাদক কারবারি। তিনি দেড় বছর জেল খাটার সময় তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান এবং জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও তিনি তার স্বামীর বাড়িতে ফিরতে চাননি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এএসআই সোহেল রানাকে মতিহার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। থানা থেকে বলা হচ্ছে, তিনি ওই নারীকে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছিলেন এবং সেই ভাড়া নিতে গিয়েছিলেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।