চিকিৎসকদের আরও বেশি মানবিক হতে হবে: জামায়াতের আমির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ PM , আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ PM
স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসকদের আরও বেশি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, একজন মানুষের চিকিৎসক হওয়ার পেছনে বাবা-মায়ের পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের মানুষের ট্যাক্সের টাকা রয়েছে। তাই চিকিৎসকদের আরও বেশি মানবিক হতে হবে।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাশনাল ডক্টরর ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত জাতীয় চিকিৎসক সমাবেশ তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের চিকিৎসক হয়ে ওঠার পছনে শুধু বাবা-মা আর নিজের মেধা নয় একজন ভিক্ষুকের অবদানও রয়েছে। ভিক্ষুকদের থেকেও ট্যাক্স নেওয়া হয়। সবার টেক্স একই জায়গায় যায়। আর যে প্রাইমারি স্কুল থেকে পড়া হয় সেখানকার ইট, বালুকানাও সবার ট্যাক্সে তৈরি। তাদের প্রতিও আমাদের চিকিৎসকদের দায় আছে।’
জামায়াতের আমির বলেন, মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহকে পাওয়া সহজ হয়। এ জন্য চিকিৎসকদেরই মানবিক বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি শেষ, দেখে যেতে পারলেন না জাহাজ মাস্টার কিবরিয়া
এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের চিকিৎসা এগিয়ে গেলেও ওষুধের কাঁচামালে এখনো আমদানিনির্ভর। এ জন্য একদল মানুষকে গবেষণায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে। চিকিৎসকদের জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠ হতে হবে। এ জন্য বেশি বেশি পড়াশোনা ও কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। যে জাতি জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় যত এগিয়ে সে ততটাই সভ্য।
তিনি বলেন, ‘যে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই, সেটি গড়তে চিকিৎসকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ, অন্যদের চেয়ে তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সেবার মাধ্যমে সেটি করতে হবে। এর মধ্যেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এনডিএফের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন আসবে এটা আমার বিশ্বাস। চিকিৎসকদের মধ্য থেকে কিছু মানুষকে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। কারণ, গবেষণার বিকল্প নেই। দুর্ভাগ্যক্রমে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না।’
আরও পড়ুন: ছেলের জন্য ‘হালুয়া’ বানিয়ে অপেক্ষায় থাকেন মা
জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমাদের স্মার্ট সার্ভিস উপহার দিতে হবে। সেবাপ্রত্যাশীদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনার-আমার আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে শুধু বাবার টাকাই নয়, খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষেরও টাকা রয়েছে। রাষ্ট্রের ট্যাক্সের টাকা ধনী-গরিব সব একসঙ্গে রাখা হয়, প্রতিটি অকাঠামোর ইট-পাথরে খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম লেগে আছে। এজন্য একটা মানবিক দেশ গড়তে চাই আমরা। যেখানে পথ দেখাতে হবে চিকিৎসকদের।’