বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের গাড়িবহরে হামলা, ছিনতাই
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ AM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ AM
সাংগঠনিক ভ্রমণে বান্দরবান যাওয়ার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় নেতাদের মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় কয়েকজন হাতে ও শরীরে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ের মেঘনা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি বান্দরবানের লামায় সভা করতে রবিবার রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা করেন। সংগঠনটির উদ্যোগের জুলাই–আগস্ট বিপ্লবে আহত ও শহীদদের স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নারায়ণগঞ্জ হাইওয়েতে মেঘনা ব্রিজে আসলে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গাড়িতে হামলা করে।
৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন নির্বাহি কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, নির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম নিরব, মইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ রাকিব, রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, মাহমুদা সুলতানা রিমি, নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য উপ–কমিটি সদস্য মিশু আলি সুহাস ও সমন্বয়ক মিতু আক্তার। তাদের মধ্যে রাকিব মোহাম্মদ ও মাহমুদা সুলতানা আহত হয়েছেন।
নির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম নিরব বলেন, হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমার মাথায় ও হাতে ভাঙা কাঁচ বিধেঁছে। সঙ্গে থাকা ফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র তারা নিয়ে গেছে। হামলাটির প্রকৃতি খুবই রহস্যজনক। আমরা মনে করছি, এটা পূর্ব পরিকল্পিত। প্রশাসনকে অতিদ্রুত এর সুষ্ঠু তদন্ত করে জনসম্মুখে প্রকাশ এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
মোহাম্মদ রাকিব বলেন, ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশের নিয়মিত টহলের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকলে এমন ঘটনা ঘটতো না। এখানে হামলায় আজকে আমাদের প্রাণহানীও ঘটতে পারতো। আমাদের সঙ্গে নারী সহযোদ্ধারাও ছিলেন। সড়কের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
নির্বাহি কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, হামলার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। তখন মুহূর্তেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। আমরা এ হামলায় ভীত নই। হামলায় প্রতিনিধি দলের যারা আহত হয়েছেন তাদের ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর আমরা আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহেদ মোর্শেদও ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রনেতাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। পরে অন্য গাড়ি আসলে ছাত্রনেতাদের কয়েকজন ঢাকায় এবং বাকিরা লামার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ঘটনার ধরন ও বিবরণে ঘটনাটি ছিনতাইকারীদের কোনো দল ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ কাজ করছে।