চিন্ময় কৃষ্ণ ও আইনজীবী হত্যা ইস্যুতে যা বললেন শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে হত্যা এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ইস্যুসহ নানা বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত তার ফেসবুকে ভেরিফায়েড আইডিতে ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিবৃতি’ দাবি করে একটি পোস্ট করেন।

বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এই হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিল, আর তাকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা একধরনের জঙ্গিবাদী আচরণ। এই কাজ যারা করেছে তারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি। তারা যেই হোক না কেন শাস্তি তাদের পেতেই হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার যদি এই সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশবাসীর প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি,‌ এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।’

বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব‍্যমূল‍্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপরে প্রত‍্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।’

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরে চলছে হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের মাধ‍্যমে হয়রানি। আমি এসব নৈরাজ‍্যবাদী ক্রিয়াকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’


সর্বশেষ সংবাদ