দোকান দখল করে মালিকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
রাজধানীর উত্তরা এলাকা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ PM , আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ PM
রাজধানীর উত্তরা অঞ্চলের মধ্য আজমপুরে মুন্সি মার্কেটের হাজী রমিজ উদ্দিনের দোকান দখল ও দোকান মালিককে হেনস্তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিএনপির ওয়ার্ড যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন দোকান মালিক রমিজ উদ্দিন আহমেদ।
দোকানের মালিক রমিজ উদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, ২০২২ সালে মতিউর রহমান বাবু তাঁর জমি দখল করার চেষ্টা করে। রমিজ উদ্দিন এতে বাধা প্রদান করলে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান তার উপর শারীরিক নির্যাতন করে এবং মারধর করে।
সম্মেলনে রমিজ উদ্দিন বলেন, `আমাদেরকে মারধর করা হলে আমরা তখন নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের সহায়তা নিই। তখন তারা আদালতে মামলা করে। আদালতের আদেশক্রমে এসিল্যান্ড মহোদয় নিজে জায়গাটি প্রদর্শন করেন এবং আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত এসিল্যান্ডের দাখিলকৃত প্রতিবেদন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ ও কাগজপত্র দেখে মামলাটি খারিজ করে দেন।
এরপর আমাদের জমির মালিকানায় আর কেউ হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু মতিউর রহমান বাবু আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং বারবার আমার গায়ে হাত তোলে। আমার ছেলে-মেয়েদের রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সুবিধা পেয়ে মতিউর রহমান বাবুসহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা ও দোকানে লুটপাট করে।’
তিনি আরও বলেন, গত মাসের ৭ আগস্ট ভোর ৪টার দিকে বিএনপি নেতা তার দোকানে তালা লাগায় এবং তার ভাড়াটিয়াকে ঢুকতে বাধা দেয়। পরবর্তীতে ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় তালা ভেঙে দোকান মুক্ত করা হয়। ‘এরপর থেকে মতিউর রহমান বাবু যেখানেই আমাকে দেখে, সেখানেই হুমকি প্রদান করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পুনরায় দোকান দখল ও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ২৪ আগস্ট দুপুর ২টায় মতিউর রহমান বাবু ১৫-২০ জন সশস্ত্র লোকজন নিয়ে আমার দোকান ভেঙে মালামাল লুট করে এবং দোকান দখল করে নেয়। প্রতিনিয়ত আমাদের দেখা মাত্রই হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমি সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।’
অভিযোগের ব্যাপারে মতিউর রহমান বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘মূলত তারাই আমার জায়গা দখল করতে চায়। তারা বানোয়াট কাগজ তৈরি করেছে। ওই জায়গায় আমার দোকান, বাড়ি-ঘর সবই আছে।’
তবে হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এখানে মোট ১৩ শতাংশ জমি। তারমধ্যে দুজন যথাক্রমে ৬.৫৫ এবং ৩ পয়েন্টের কিছু বেশি জায়গা কিনেছেন। এর বাইরের জমি আমার। কিন্তু তারা তা দখল করে রেখেছেন।’