আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নাহিদ

নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম  © সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের পর কথা বলেছেন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এসময় ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবু সাঈদের বাবা। 

শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে রংপুরের পীরগঞ্জ পৌঁছান ড. ইউনূস ও নাহিদ ও অন্যরা। আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় আবু সাঈদের মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন অশ্রুসজল।

এরপরে ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও নাহিদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। আবু সাঈদ যেখানে গুলিবিদ্ধ হন সেই জায়গাটিও পরিদর্শন করেন তারা। পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টারা।

আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুরে গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

গত ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিমানবন্দরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবু সাঈদের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, এই সময়ে আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এটা কেউ ভুলতে পারবে না। কী অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এবং তার পর থেকে আর কোনো যুবক, কোনো যুবতী হার মানেনি। সামনে এগিয়ে গেছে এবং বলেছে, যত গুলি মারো, মারতে পারো। আমরা আছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence