পণ্য বয়কটের মুভমেন্ট ঝিমিয়ে পড়েছিল, এবার আরও চাঙা হবে: আজহারী

 মিজানুর রহমান আজহারী
মিজানুর রহমান আজহারী  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে সারাবিশ্বসহ বাংলাদেশেও ইসরায়েলি ও মার্কিন পণ্য বয়কট করছেন সাধারণ জনগণ। কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোমল পানীয় কোকাকোলা বয়কটের ডাক ওঠে। তবে সম্প্রতি কোকাকোলা বাংলাদেশে একটি বিতর্কিত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। এবার এই বিজ্ঞাপনের কড়া সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে পোস্ট করা স্টাটাসে কোকাকোলার নাম সরাসরি উল্লেখ না করে তিনি লিখেন, ‘কুরবানীর আগে আগে ওদের বিজ্ঞাপনটা অনেকটা পাগলকে সাঁকো না নাড়ানোর অনুরোধের মতোই হয়েছে। পণ্য বয়কটের মুভমেন্ট খানিকটা ঝিমিয়ে পড়েছিল। এবার নতুন করে আরো চাঙ্গা হবে। 

যেকোন আগ্রাসনের বিপক্ষে অবস্থান নিন। যার যতটুকু সম্ভব ইসলাম বিদ্বেষী ও জালিমদের পণ্য কেনা থেকে দূরে থাকুন। ধীরে ধীরে এটা অভ্যাসে পরিণত করুন। পণ্য বর্জন কতোটা শক্তিশালী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মালয়েশিয়াতে তা স্বচক্ষে অবলোকন করছি। এখানে ম্যাকডোনাল্ড এবং স্টারবাকস অনেকটা আইসিউতে।

বর্জন এবং জনসচেতনতা চলবে একইসাথে। শুধু পণ্যই নয়, ইসলাম বিদ্বেষী সবকিছুকেই বর্জন করতে হবে। এবারের ঈদ হোক ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত, হোক চিহ্নিত সকল ইসলাম বিদ্বেষী পণ্যমুক্ত।’

পোস্টের কমেন্ট বক্সে তিনি পুনঃশ্চ লিখেন, ‘শুধু পণ্যই নয়, ইসলাম বিদ্বেষী সবকিছুকেই বর্জন করতে হবে। এবারের ঈদ হোক ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত, হোক চিহ্নিত সকল ইসলাম বিদ্বেষী পণ্যমুক্ত।’

মিজানুর রহমান আজহারী এই পোস্ট দেয়ার পর কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগী থেকে শুরু করে সাধারণে মানুষ সবার সাধ্যবাদ জানিয়েছেন। বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীই লিখেছেন, ইনশাআল্লাহ।

এদিকে, তুমুল সমালোচনার মুখে জীবন-শিমুল শর্মাদের করা সেই বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিয়েছে কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা। ইউটিউবে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই বিজ্ঞাপন আর দেখা যাচ্ছে না। কোকাকোলা বাংলাদেশের সেই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোককে সবাই যে দেশের পণ্য মনে করছে, আসলে সেই দেশের পণ্য নয় কোকা-কোলা। মানুষ সঠিক তথ্য না জেনেই কোকা-কোলা বয়কটের ডাক দিয়েছে। 

আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত জীবনে আমি যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে: অভিনেতা জীবন

১৯০টি দেশের মানুষ কোক খায়। এমনকি ফিলিস্তিনে কোকা-কোলার ফ্যাক্টরি রয়েছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে। বিজ্ঞাপনটিতে জীবন ছাড়া আরও মডেল হয়েছেন অভিনেতা শিমুল শর্মা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনটি নির্মাণের পেছনেও রয়েছেন শরাফ আহমেদ জীবন।

বিজ্ঞাপনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে আসার পর থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনয়শিল্পীরা। তাদের বয়কটের হুমকি দিয়েছেন নেটিজেনরা। বিতর্কের মুখে পড়ে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কোকাকোলা। তবে এ প্রসঙ্গে এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

 

সর্বশেষ সংবাদ