জিম্মি জাহাজে থাকা পণ্যের পরিমাণ ও মূল্য সম্পর্কে যা জানা গেল

এমভি আব্দুল্লাহ
এমভি আব্দুল্লাহ  © সংগৃহীত

সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি ‘এমভি আব্দুল্লাহ’  কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়ার পথে ২৩ নাবিক ও ক্রুসহ জাহাজটিকে আটক করে জলদস্যুরা। অস্ত্রের মুখে নাবিক ও ক্রুদের জিম্মি করার পর জাহাজটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত জলসীমায় নিয়ে গেছে তারা।

এদিকে জাহাজে থাকা কয়লার পরিমাণ কত এবং তার মূল্যই বা কত এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, জাহাজে থাকা পণ্যের পরিমাণ প্রায় ৫৫ হাজার টন। তবে এই পরিমাণ পণ্যের মূল্যের ব্যাপারে জানাতে পারেননি তিনি।

তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন কয়লার দাম ১১০ থেকে ১২০ ডলারে ওঠানামা করছে। নিউক্যাসেল কোল ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতি টন কয়লার দাম ১৩০ থেকে ১৪০ ডলার। আবার ইন্দোনেশিয়া কোল ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতি টন কয়লার দাম ১১৫ থেকে ১২০ ডলার। সে অনুযায়ী, জাহাজে থাকা এসব কয়লার মূল্য প্রায় ৬৬ লাখ ডলার বা ৮০ কোটি টাকা।  

এদিকে এমভি আব্দুল্লাহ ও এর জিম্মিদের মুক্তির জন্য কেউ এখনো মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করেনি। তবে মুক্তিপণ ছাড়া মুক্তি মিলবে না বলে নিশ্চিত হয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। এই মুক্তিপণ প্রদান ও গ্রহণ প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাই কয়লা বোঝাই জাহাজটি কত দিন এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা।

জানা গেছে, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ কবির স্টিল রোলিং মিলসের (কেএসআরএম) মালিকানাধীন। এই কোম্পানির একটি জাহাজ (এমভি জাহানমণি) ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার ২৬ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। 

১০০ দিন পর তাদের মুক্ত করে এনেছিল কোম্পানি। ফলে জিম্মিদের উদ্ধারে এবারও পূর্বের সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় কবির গ্রুপ।

তবে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান তার স্ত্রীর কাছে একটি অডিওবার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, মুক্তিপণ না দিলে সবাইকে এক এক করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা।


সর্বশেষ সংবাদ