ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ৭ নম্বর সতর্কতা, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত ১০ জেলায়

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘হামুন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠছে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘হামুন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ উঠছে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত।  © সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ‘হামুন’ দ্রুতই উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে এবং উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০  কিলোমিটার।  

ঘূর্ণিঝড়ে হামুনের প্রভাব ইতোমধ্যে শুরুও হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছ থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এতোমধ্যে বন্দরগুলোতে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে চট্টগ্রাম এবং বরিশাল জেলার  উত্তর-পূর্ব থেকে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় হামুন। পায়রা বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। বাতাসের গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ২ টি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়টি আজ (মঙ্গলবার) রাত ১০টা থেকে আগামীকাল (বুধবার) ১০টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে। তবে শেষ মুহূর্তে এটি গতি বাড়ালে আগেই অতিক্রম শুরু করতে পারে। এমটি জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। এজন্য ১০ জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০ জেলা (ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর) আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা আছে। পর্যাপ্ত ওষুধ ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। গবাদিপশু রাখার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যবস্থা আছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি জেলায় ২০ লাখ টাকা ও ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। ১ কোটি টাকা গো-খাদ্যের জন্য এবং ১ কোটি টাকা শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় আগে থেকে চাল, টাকা আছে। ১২ টা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে। রাত ৮ টার মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। রান্না করা খাবার, শিশুদের খাবার, সুপেয় পানি, গো-খাদ্যের জন্য অর্থ দেয়া হয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence