বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:১৯ AM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৯ AM
পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার দশ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটারের চেয়ে ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে তিস্তার পানি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার ও শনিবার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে তিস্তা, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলাসহ জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দশ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: অপ্রীতিকর অবস্থায় থাকা সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীর হাতে লাঞ্ছিত সহকারী প্রক্টর
জানা গেছে, ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। তিস্তার পানিতে পাটগ্রামে অবস্থিত বহুল আলোচিত বিলুপ্ত ছিটমহল আঙ্গরপোতা ও দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর এলাকার দশ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
হঠাৎ বন্যায় কয়েক হাজার একর আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি তিস্তার পানিতে ডুবে গেছে। ইতোমধ্যে চর এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে গেছে।
দুই দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন চর এলাকার মানুষ। এখন পর্যন্ত তাদের মাঝে কোনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। কেউ তাদের খোঁজ পর্যন্ত করেনি বলে অভিযোগ চর এলাকার মানুষের।