সংস্কৃতি চর্চায় তৃণমূল থেকে মেধাবীদের খুঁজে বের করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংস্কৃতি চর্চায় তৃণমূল থেকে মেধাবীদের খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ব্যবহার করতে হবে। আজকের বিশ্ব প্রযুক্তির বিশ্ব। আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চায় প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করে আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই। 

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও একটি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় জাদুঘরে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র জেলা পর্যায়ে নয়, সাংস্কৃতিক চর্চার কেন্দ্র তৃণমূল পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতির দর্শন বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার সংস্কৃতির দর্শন বাস্তবায়ন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের মেধাবীরা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তৃণমূল মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। সেগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উদার মানসিকতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিকটা যেন আরও বিকশিত হয় আমাদের সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো দেশ বা যেকোনো জাতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে গেলে সংস্কৃতির ওপরেই আঘাত করা হয়। আমাদের সেই জায়গায় আঘাত করেছিল পাকিস্তানি শাসকরা। 

আরও পড়ুন: তেলবাহী জাহাজে ফের বিস্ফোরণ, ১০ পুলিশসহ দগ্ধ ১৪

১৯৪৮ সালে তারা বলেছিল, বাংলা ভাষায় কথা বলা যাবে না, উর্দু ভাষায় কথা বলতে হবে। তারা নানাভাবে আমাদের মাতৃভাষার অধিকারটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের সংস্কৃতিটাই ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রাখলে ও বিকশিত করলে এর মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতীয় গ্রন্থাগারগুলো ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি লাইব্রেরি কার্যক্রম গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা পর্যায়ে যেসব লাইব্রেরি রয়েছে, সেগুলো ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। পাবলিক লাইব্রেরিকে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তুলতে ৫২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ