প্রাইভেট না পড়ায় ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক

পাঁচপীর মাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে
পাঁচপীর মাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে  © সংগৃহীত

প্রাইভেট না পড়ায় স্কুল থেকে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কাহালু উপজেলার পাঁচপীর মাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানিয়েছে সেই ছাত্রী।

মঙ্গলবার (২৩ মে) এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক সপ্তাহ পরও বিদ্যালয়ে ফিরতে পারেনি ওই ছাত্রী। তিনি কাহালু উপজেলার কালিশপুরী গ্রামের আব্দুল মেমিনের মেয়ে।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ইংরেজি বিষয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে প্রাইভেট পড়ান। আমি উনার কাছে না পড়ে অন্য এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ি। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমাকে নানা বিষয়ে বিদ্যালয়ে হেয় করে আসছিলেন। ২৩ মে সকালে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ার জন্য বিদ্যালয়ের সামনে বান্ধবীর সঙ্গে বসে ছিলাম।

বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রধান শিক্ষক আমাকে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে বলেন, তোমার মতো ছাত্রী আমার দরকার নেই, বের হয়ে যাও। পরে আমাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।’ এই ঘটনার পর ওই ছাত্রী অভিযোগ নিয়ে কাহালু থানায় যায়। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহার হোসেনের কাছে অভিযোগ দেয় সে।

আরও পড়ুন: ছাত্রী আন্দোলনে উত্তপ্ত শেকৃবি, সিঙ্গেল সিটের দাবি

সে আরও বলে, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেওয়ার পর গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুজন ছেলে মোটরসাইকেলে এসে রাস্তার মধ্যে আমাকে আটকিয়ে অভিযোগ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এক সপ্তাহ হচ্ছে ভয়ে আমি বিদ্যালয়ে যাইনি। বিদ্যালয় থেকে আমার অভিভাবককেও ডাকেনি। আমি প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহার ও বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। এজন্য কোনো মন্তব্য করবেন না।

স্কুলছাত্রীর বাবা আব্দুল মেমিন বলেন, ‘আমার মেয়ে যদি কোনো ভুল করে থাকে তাহলে প্রধান শিক্ষক আমাকে ডাকতে পারতেন। আমাকে কিছু না বলেই মেয়েকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন। আমরাতো এত কিছু বুঝি না। উপজেলায় এক বড় স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন। আমার চাওয়া মেয়ে যেন বিদ্যালয়ে ফিরতে পারে।’

কাহালু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence