ধানক্ষেত থেকে ধরে নিয়ে বাংলাদেশি কৃষককে হত্যা বিএসএফের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১১:৪৭ AM , আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১১:৪৭ AM
ধানক্ষেত থেকে ধরে নিয়ে বাংলাদেশি কৃষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। ফেনীর পরশুরাম উপজেলার ওই কৃষককে বাংলাদেশ অংশ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবার ও স্থানীয়দের। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সীমান্তের ওপারে কাঁটাতারের কাছাকাছি এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন, সেটি ওই কৃষকের মরদেহ। তিনি পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে; তার নাম মেজবাহ উদ্দিন।
মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, বাংলাদেশে ঢুকে অন্যায়ভাবে মেজবাহকে ধরে নিয়ে গেছে এবং পরে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
কৃষক মেজবাহ উদ্দিন গত রোববার বিকেলে উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের অংশে নিজের জমিতে ধান কাটছিলেন। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর একটি দল চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ অংশে ঢুকে পড়ে। তারা চোরাকারবারিদের না পেয়ে কৃষক মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি রোববারই স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছেন মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার এবং পরিবারের অন্যরা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ঘটনার পরদিন সোমবার বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১১টা, দুপুর ২টা এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় পরপর তিনবার। কিন্তু বিএসএফ অস্বীকার করে কৃষককে ধরে নেওয়ার বিষয়টি বলে বিজিবির পক্ষ থেকে ওই পারিবারকে জানানো হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিজিবি জানিয়েছে, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। আপাতত আমরা মরদেহ উদ্ধারে বা বুঝে নিতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না। গুথুমা বিজিবি ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার জানিয়েছেন, ‘আমরা সোমবার কৃষক মেজবাহর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছি। তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
এ নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন সুমন বলেন, মেজবাহকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। কিন্তু তারা বিজিবির সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি অস্বীকার করে।