গভীর হচ্ছে নিম্নচাপ, ছয় বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

উপকূলে সতর্কতা সংকেত
উপকূলে সতর্কতা সংকেত  © সংগৃহীত

পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ মধ্যরাতে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৩ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া নিম্নচাপের প্রভাবে আজ দেশের ছয় বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে আজ রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও বৃষ্টি হতে পারে। আর গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের তিন সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে পরবর্তী পাঁচ দিনে বৃষ্টির প্রভাব কেটে যাবে।

আরও পড়ুন: এমপিও কোড প্রস্তুত, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষা।

আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল মান্নান আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি এখন মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি আজ মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস জানিয়ে আবদুল মান্নান বলেন, রংপুর ও ময়মনসিংহ বাদ দিয়ে দেশের বাকি ছয় বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। রাজধানী ঢাকাতে আজ এবং আগামী দুই দিন বৃষ্টি হতে পারে।

অপরদিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর চার) বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ রবিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মােংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কি.মি. বেগে দমকা/ ঝড়াে বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেইসাথে ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভােলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নােয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৩-০৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ