হাঙ্গেরীতে অনুষ্ঠিত হলো নিউক্লিয়ার কিডসদের প্রথম মঞ্চ শো
রুশ রাস্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন- রসাটমের আন্তর্জাতিক শিশু সৃজনশীল প্রকল্প নিউকিডস-২০১৮ এর অংশ হিসেবে ৪ আগস্ট হাঙ্গেরীর জেক্সজার্ড শহরের মিহাই বাবিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশ, বেলারুশ, চীন, ক্রোয়েশিয়া, মিশর, হাঙ্গেরী, ভারত ও রাশিয়ার ৫৬জন শিশুর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো প্রিমিয়ার মিউজিক্যাল শো “লামানোসভের স্ক্রল”।
প্রিমিয়ার শো’তে ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সুহাইব হোসেন একমাত্র বাংলাদেশী হলেও পরবর্তী শো’গুলোতে তার সঙ্গে থাকছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্র কায়সান ফারাজ। রাশিয়ার বিভিন্ন শহর যেমন ওজেরস্ক, স্নেঝনিক এবং মস্কোতে অনুরূপ আরো ৪টি শো অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ ২টি শো আয়োজন করা হচ্ছে মস্কোর বিখ্যাত এটসেটেরা থিয়েটারে ১৫ ও ১৬ আগস্ট।
গত প্রায় ১ মাস যাবৎ বিভিন্ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি শিশুরা এই মিউজিক্যাল শো’র জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। প্রশিক্ষণ তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রযোজক ভ্লাদিমির কারাবানভ, কোরিওগ্রাফার ম্যাক্সিম নেদোলেচকো এবং ভোকাল প্রশিক্ষক এলেনা উস্তিমেনকা। মিউজিক ড্রামাটি কম্পোজ করেন ইলিয়া এফিমভ। দৃশ্যপট ও পোষাকের দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে আন্দ্রেই সেচায়েভ এবং ইয়ানা ভালোগঝানিনা।
দুর্দান্ত নৃত্য এবং অপূর্ব মিউজিক কম্পোজিশনের সমন্বয়ে এটি ছিলো একটি দৃষ্টিনন্দন এবং উপভোগ্য একটি শো। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি শো’টিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। অনন্য ভিডিও প্রজেকশন, আলো এবং শব্দের এফেক্ট দর্শকদের ৮০ মিনিটের জন্য মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।
পাকস শহরের রুশ ক্লাবের এক সদস্য নিকিতা ইভানভ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “অপূর্ব একটি শো! অত্যন্ত সুন্দর মিউজিক, দারুন নৃত্য পরিবেশনা এবং চমৎকার সাজ-সজ্জা সব মিলিয়ে কিভাবে যে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়ে গেলো, বুঝতেই পারিনি।”
হাঙ্গেরী পাকস্ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্য বিভাগের পরিচালক আন্তাল কোভাক বলেন, “পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে একটি মুখ্য বিষয় হলো মানুষের মধ্যে পারস্পারিক বন্ধুত্ব। নিউকিডস প্রকল্পের শিশুরা বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির মধ্যে অকৃত্রিম শিশুসুলভ বন্ধুত্বের এক অনন্য নিদর্শন স্থাপন করেছে।”
এ বছরের মিউজিক প্লটটিতে মুল নায়ক নিল গ্যারিন একজন আর্ট এক্সপার্ট যিনি তার সহযোগীদের সঙ্গে বিখ্যাত রুশ বিজ্ঞানী লামানোসভের স্ক্রলের এনিগমার সমাধান খুঁজেছেন। যখন নিল গ্যারিন আধুনিক মস্কোতে রহস্যময় স্ক্রল খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন তখন দর্শকরা লামানোসভের জীবনের বিভিন্ন অংশও দেখার সুযোগ পেয়েছেন।