হোস্টেল নির্মাণ ও নিয়োগসহ তিন দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন

মানববন্ধনে চিকিৎসকরা
মানববন্ধনে চিকিৎসকরা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) শিক্ষক ও মেডিকেল অফিসার নিয়োগ, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণমাত্রায় চালু এবং ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ হোস্টেল নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চিকিৎসকরা। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পরে একই দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ ও প্রোভিসি (উন্নয়ন ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন চিকিৎসকরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন দেশের চিকিৎসাখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবুও দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং মানবসম্পদের ঘাটতির কারণে শিক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধীনস্থ হাসপাতালগুলোতে বহু শিক্ষক ও মেডিকেল অফিসারের পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এর ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয়ই বিঘ্নিত হচ্ছে। অবিলম্বে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শূন্য পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু এবং প্রয়োজনে নতুন পদ সৃজন করতে হবে।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও কর্মীর অভাবে পূর্ণমাত্রায় কার্যকর নয়। এতে রোগীরা মানসম্মত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং শিক্ষানবিশ ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা পাচ্ছেন না। অতএব জাতীয় স্বার্থে হাসপাতালটি সম্পূর্ণভাবে চালু করে সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

বিএমইউতে দক্ষ জনবল সংকটের তথ্য তুলে ধরে তারা জানান, বতর্মানে বিএমইউ তে ৬৫টি মেডিকেল অফিসার পদ খালি আছে। এ ছাড়া পদোন্নতির কারণে ২২৬টি মেডিকেল অফিসার পদ আটকে রয়েছে। অপরদিকে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে পোস্ট শূন্য আছে সাড়ে তিন শতাধিক।

মাববন্ধনে চিকিৎসকরা বলেন, বর্তমানে রেসিডেন্ট ও ট্রেইনি ডাক্তারদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো হোস্টেল সুবিধা নেই, ফলে তারা নিরাপদ ও উপযুক্ত আবাসন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন লাইব্রেরি ও একাডেমিক সাপোর্ট সিস্টেমেরও অভাব রয়েছে। এজন্য দ্রুত সময়ে পূর্ণাঙ্গ হোস্টেল নির্মাণ এবং আধুনিক লাইব্রেরি স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ