ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে টেকসই কাজ করতে হবে

অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী ও ইউআইইউ’র লোগো
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী ও ইউআইইউ’র লোগো  © টিডিসি ফটো

অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। দায়িত্ব পালন করছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের (সিইআর) পরিচালক হিসেবে। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে আলোর মশাল হাতে অগ্রগামীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। গুণী এ গবেষকের হাত ধরেই ২০০৭ সালে দেশে প্রতিষ্ঠা পায় বিশেষায়িত এ গবেষণাগার। অধ্যাপক শাহরিয়ার দেশে এবং দেশের বাইরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক গবেষণা এবং উদ্ভাবন নিয়ে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন এবং কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন অনেকগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। সম্প্রতি দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি কাঠামোসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এই বিশেষজ্ঞ। দুই পর্বের এ সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব তুলে ধরছেন খাঁন মুহাম্মদ মামুন—

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু? টেকসই জ্বালানি নিশ্চিতে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের করণীয় কী? 
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: জীবাশ্ম জ্বালানি এক সময় শেষ হয়ে যাবে। এক সময়ে বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজস্ব গ্যাস হতে উৎপাদিত হত। এখন আমাদের নিজস্ব গ্যাস কমে এসেছে এবং আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমদানিকৃত জ্বালানির উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। নানা বৈশ্বিক কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য মাঝে মাঝে অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়, যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যা আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের পরিবেশের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।

স্মার্ট সোলার ইরিগেশন সিস্টেমভিত্তিক প্রজেক্টের জন্য ‘স্মার্টার ইউরোপ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ গ্রহণ করছেন অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। তাই আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পরিষ্কার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে বড় দিক হলো—ব্যবহার করার পরও এটি কখনই নিঃশেষ হয়ে যায় না। নবায়নযোগ্য উৎসগুলোর মধ্য থেকে যেগুলো ব্যবহার করে আমরা শক্তি উৎপাদন করতে পারছি তার মধ্যে—বাংলাদেশের জন্য সৌর শক্তি এবং বায়ু বিদ্যুৎ অন্যতম। এর বাইরে আমরা জলবিদ্যুৎ থেকেও বিদ্যুতের একটা অংশ উৎপাদন করতে পারছি। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আমরা এ খাত থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি একবার স্থাপন করলে এতে আর তেমন খরচ হয় না। 

আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণার বাতিঘর ইউআইইউ’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ

আগামীতে বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট জ্বালানির ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। ফলে আমরা চাই বা না চাই আমাদের এদিকে যেতেই হবে। বর্তমানে সৌর বিদ্যুতের দাম কম এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সামনে এটি আরও কমবে। আমাদের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু-বিদ্যুতের সম্ভাবনা আছে। নেট মিটারিংয়ের আওতায় বাংলাদেশে রুফটপ সৌর বিদ্যুতেরও একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সৌরশক্তিই নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে ভালো উৎস, এরপর বায়ু বিদ্যুৎ আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জোগান দেবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও সরবরাহে বাংলাদেশের কী কী করা উচিত?
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: এক্ষেত্রে আমরা সোলারের সম্ভাবনার কথা বলতে পারি। বায়ুবিদ্যুৎ সাধারণের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না। আমাদের জমির স্বল্পতা এবং অন্যান্য প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় সৌরবিদ্যুৎই সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক হবে। আর এটি একবার স্থাপন করলে ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের বাইরে এর পেছনে আর খুব বেশি খরচ করা লাগে না। আবার কেউ সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে দেশের প্রচলিত জ্বালানির ওপর চাপ কমবে। সবমিলিয়ে এখন যে খরচ সেটি কমানো এবং মানুষকে উৎসাহিত করতে এখাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে।

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ডিজাইন করে সিইআর। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: অনেকেই বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে খরচ কম। কিন্তু সৌর, বায়ু ও জল বিদ্যুৎসহ নানা নবায়নযোগ্য জ্বালানি রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রাযুক্তিক প্রয়োগে উৎপাদন খরচ কতটুকু কমিয়ে আনা যেতে পারে? 
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: একটা সময়ে জীবাশ্ম জ্বালানি হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এর চেয়ে সাশ্রয়ী ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যাপক ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে নবায়নযোগ্য প্রযুক্তির মূল্য বর্তমানে অনেক কমে এসেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে জলবিদ্যুৎ ও নিজস্ব গ্যাস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যতীত অন্য সকল প্রযুক্তি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ অনেক সাশ্রয়ী। ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির আরও ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে এর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের খরচ আরও কমে আসবে।

আগামীতে বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট জ্বালানির ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। আমাদের এদিকে যেতেই হবে। বর্তমানে সৌর বিদ্যুতের দাম কম এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সামনে এটি আরও কমবে। এছাড়া আমাদের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু-বিদ্যুতের সম্ভাবনাও আছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবগুলো সম্ভাব্য খাত সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য নয়। আমাদের ভু-তাপীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বায়ু এবং সৌর শক্তি থেকেই আমরা সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে হালনাগাদ এবং সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। প্রাযুক্তিক উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের ব্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তিগত উন্নতি যেভাবে হচ্ছে এটি অব্যাহত থাকলে সামনে সৌর শক্তি থেকে আরও কম ব্যয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজের অতীত এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো কী? ভবিষ্যতে কী কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে?
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: আপনি এগিয়ে যেতে চাইলে চ্যালেঞ্জ থাকবেই, আমাদের চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করতে হবে এবং আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণের সমাধান আমাদেরকেই বের করতে হবে। এর মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি অনেক বেশি আধুনিকায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে। এছাড়াও আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং গ্রিড রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।

জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ ২০১৬-এ পুরস্কার পায় সিআরই’র একটি প্রকল্প। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

পরিবর্তনশীল নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ জাতীয় গ্রিডের স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করে দেয়। এ সমস্যা সমাধান করার জন্য ভবিষ্যতে আমাদের গ্রিড ফ্লেক্সিবিলিটি, স্মার্ট গ্রিড, বড় আকারের গ্রিড ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম, এনার্জি ক্যারিয়ার যেমন: হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে হবে। তাই এখনি এগুলো নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হবে সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও ইন্টারনেটভিত্তিক এবং অনেকক্ষেত্রে তা হবে অ্যাপভিত্তিক (সেবা); সেক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মাঠ পর্যায়ে বা গ্রাহক পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির কিছু প্রকল্পে আমরা সত্যিকার অর্থে ইম্প্যাক্ট দেখতে পাই না। যেমন: ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে বাসাবাড়িতে সোলার প্যানেল স্থাপনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও এটি কাজে আসেনি। এক্ষেত্রে করণীয় কী?
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে অফ গ্রিড এলাকা অর্থাৎ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পেরেছি। এটি আমাদের বড় পাওয়া। প্রায় ৭মিলিয়ন পরিবার এ আলো পেয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমানে দেশের প্রায় ১০০ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে, এটা আমাদের জন্য একটা বিশাল বড় অর্জন।

আরও পড়ুন: ‘উপাচার্য মহোদয়কে দুটি শর্ত দিয়ে ইউআইইউতে যোগ দিয়েছিলাম’

আর আগে বাসা বাড়িতে সোলার স্থাপনের বিষয়ে শুধু নির্দেশনা ছিল, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে সোলার সিস্টেম সংযুক্ত করতে হবে। কিন্তু এটি কীভাবে কাজ করবে এবং এর থেকে কীভাবে সুফল আসবে—সে ধারণা স্পষ্ট ছিল না। ফলে এ সকল সিস্টেমসমূহ অফ গ্রিড সিস্টেমের মতো ব্যাটারিযুক্ত করা হয়েছিল, যা গ্রাহকের উপকারে আসেনি, উপরন্তু ব্যাটারি নষ্ট (সাধারণত এ সকল ব্যাটারির গড় আয়ু হয় ২ বছর) হয়ে গেলে সিস্টেমটি আর কাজ করত না।

রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে স্থাপিত দৃষ্টিনন্দন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ডিজাইনও করে সিইআর। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

কিন্তু এখন নেট মিটারিং পলিসির আওতায় ব্যাটারির প্রয়োজন হয় না। সোলার সিস্টেমটি ব্যাটারি ছাড়াই বাড়ির বৈদ্যুতিক সিস্টেমের সাথে যুক্ত হয়, এরকম সিস্টেমকে আমরা ‘গ্রিড টাইড সোলার সিস্টেম’ বলি। এ সিস্টেম হতে উৎপাদিত বিদ্যুতের খরচ পড়ে প্রায় ৫ টাকা বা তার চেয়ে কম, যা মানুষের জন্য সাশ্রয়ী। কখনো যদি এমন হয় যে, বাড়ির সোলার সিস্টেমটি গ্রাহকের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, তবে তা মিটারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গ্রিড এ যাবে এবং মিটার তা রেকর্ড করে রাখবে।

আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পরিষ্কার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে বড় দিক হলো—ব্যবহার করার পরও এটি কখনই নিঃশেষ হয়ে যায় না।

পরবর্তীতে মাস শেষে তা গ্রাহকের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলে সমন্বয় হবে। ফলে বাসা-বাড়ির সোলার থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে এবং এটি মাস শেষে বিদ্যুৎ বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে। যা গ্রাহকের জন্য খুবই সাশ্রয়ী, কাজেই এখন বাসা বাড়িতে সকলেই নেট মিটারিং পলিসির  আওতায় সোলার সিস্টেম স্থাপন করলে উপকার পাবেন, এ সকল সিস্টেমের আয়ু প্রায় ২০ বছর। এতে মানুষের আগ্রহ আসবে বলে আমার মনে হয়। তবে বাধ্যবাধকতার বাইরে গিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।  

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশে জ্বালানি খাত নিয়ে বিদ্যমান উচ্চশিক্ষা এবং জনবল পরিস্থিতি কেমন? আমাদের প্রস্তুতি কি যথেষ্ট? 
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীরই এখন জ্বালানি খাতের পরিবর্তন-কাল চলছে। বাংলাদেশের এখন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ নিয়ে আগ্রহী হচ্ছে। তবে এখানে ইন্ডাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমিয়ার সংযুক্তি কম—এটি বাড়াতে হবে; এখানে আমাদের বড় ঘাটতি রয়েছে। এর বাইরে গবেষণায় আমাদের আরও বেশি জোর দিতে হবে। জ্বালানি খাতে বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আমাদের আরও অনেক দক্ষ জনবল প্রয়োজন, যার অনেক ঘাটতি রয়েছে।

২০১৮ সালে ‘অনির্বাণ আগামী’ পুরস্কার গ্রহণ করছেন অধ্যাপক শাহরিয়ার। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: গবেষণায় আগ্রহীদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী হবে? কী করবে, কী করবে না?
অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ: সাফল্যের জন্য লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে, কখনই হতাশ হওয়া যাবে না, হাল ছাড়া যাবে না, সর্বদাই শেখার মানসিকতা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। ছোট ছোট ত্যাগ ও নিয়মিত পরিশ্রমই তারুণ্যের সাফল্য বয়ে আনবে। প্রযুক্তি এগিয়ে চলছে, সেজন্য তরুণদের নতুন নতুন জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নানা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ