বন্যায় প্লাবিত এলাকার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মাথায় হাত
- মুনতাসির রহমান
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:২৯ AM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৯ AM
সারাদেশে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শুরুর পর থেকে দেশের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় এসব অঞ্চলগুলোর হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একদিকে বন্যার বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা অন্যদিকে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতিতেও এখন পরীক্ষায় অংশ না নিতে না পারার হতাশা এসব শিক্ষার্থীদের যেন মাথায় হাত পড়েছে।
বন্যাকবলিত অঞ্চলের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে তাদের জীবনধারণই এখন কঠিন পরীক্ষা হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতি তারা তাদের সন্তানদের পরীক্ষার বিষয়ে ভাবতে পারছেন না। তারা বলছেন, সন্তানরা বই-খাতা কোথায় রেখে পড়বে? আমাদের নিজেদেরই তো থাকার জায়গা নেই। এই মুহূর্তে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর পরীক্ষা বন্ধ স্থগিত রাখার দাবি তাদের।
বন্যায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সিলেট অঞ্চলের। সারা দেশে গত ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও বিভাগটির চার জেলার ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারেননি। ঘরে-বাইরে, পরীক্ষা কেন্দ্রে পানি থাকায় প্রথম চারটি পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষাবোর্ড। পরীক্ষা পেছালেও স্বস্তিতে নেই পরীক্ষার্থীরা। বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। এরমমধ্যে টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় অঞ্চলটির বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। তৃতীয় দফার বন্যায় প্লাবিত হয়েছে জেলার ৯৭ ইউনিয়নের ১ হাজার ১৭৬ গ্রাম। এ অবস্থার মধ্যেই ৯ জুলাই পরীক্ষায় বসবেন এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগে স্থগিত হওয়া এ চার বিষয়ের জন্য এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। নতুন রুটিন অনুযায়ী, স্থগিত চারটি বিষয়ের পরীক্ষা আগামী ১৩, ১৮, ২০ ও ২২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। আর অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষাগুলো আগের রুটিন অনুযায়ীই অনুষ্ঠিত হবে।
বন্যাকবলিত সিলেটের একটি মাদ্রাসা। ছবি: সংগৃহীত।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল জানান, স্থগিত হওয়া এই চার বিষয়ের পরীক্ষা আগের রুটিনে শুরুর দিকে ছিল। আগের রুটিনে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ৩০ জুন, ২ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। এছাড়া ৪ জুলাই ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও ৭ জুলাই ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
তিনি বলেন, এখন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের জন্য ১৩ আগস্ট, বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের জন্য ১৮ আগস্ট, ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের জন্য ২০ আগস্ট ও ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের জন্য ২২ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরও জানান, আগের রুটিনে এই চার বিষয়ের পরীক্ষার পর ৯ জুলাই ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা। এখন পুনর্নির্ধারিত সময়সূচিতে ৯ জুলাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে সিলেট বিভাগে। আগের রুটিন অনুযায়ী অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ১৩ আগস্ট থেকে স্থগিত হওয়া চারটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, গত কয়েকদিনের অব্যাহত বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জেলার চার উপজেলা তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ সদর, মধ্যনগরে অন্তত দুই শতাধিক গ্রামের তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও যাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী উপচে পানি ঢুকছে নিম্নাঞ্চলসহ তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়। সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে তিন উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার ১৫১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পানিবন্দী লোকের সংখ্যা প্রায় ৯৮ হাজার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম খাসিয়া পাহাড়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তবে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত আছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলেও বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং সরকারি ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে আজ বৃহস্পতিবারের (৪ জুলাই) এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। জেলা প্রশাসককে দেওয়া এক চিঠিতে এ তথ্য জানায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। চিঠিতে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং সরকারি ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবারের ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
মৌলভীবাজরের জুড়ী উপজেলার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
বাঘাইছড়ি উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাড়িতেও পানিবন্দি অবস্থায় আছি। পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে যে রকম পড়াশোনার পরিবেশ দরকার তা একদমই নেই। ঘরে পড়ার মতো পরিবেশ নাই। আমার অভিভাবক এ বিষয়ে খুবই চিন্তিত।’ শুধু জাহিদুল নয়, একই চিত্র উপজেলার বেশিরভাগ বাড়িতে।
কাচালং সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাঘাইছড়ির বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি গতকাল মঙ্গলবার ও আজ সকালে স্থানীয় প্রশাসন ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলে শিক্ষা বোর্ড। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন।
গেল কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার পরীক্ষার্থীদের নৌকা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়িতে চড়ে কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়। এছাড়া বানের জলে ডুবে গেছে উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মামুনুর রশিদ।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার কারণে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় গত মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিন টানা বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী ও পরশুরামের মুহুরী নদীর পানি উপচে যায়। এতে বেড়িবাঁধের পাঁচটি স্থান ভেঙে আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালদর এলাকায় একটি, ফুলগাজী উপজেলার উত্তর দৌলতপুর গ্রাম এলাকায় তিনটি ও ঘনিয়ামোড়া এলাকায় একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মঙ্গলবারের পরীক্ষা স্থগিতের ব্যাপারে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও ভোকেশনাল বোর্ডকে চিঠির মাধ্যমে অবগত করি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এবার ফুলগাজীতে চারটি ও পরশুরামে দুইটি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এছাড়া কুড়িগ্রাম, জামালপুরসহ এ অঞ্চলের আরও একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। গ্রামীণ সড়ক ডুবে ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে প্লাবিত হয়েছে নাগেশ্বরী, রৌমারী, রাজিবপুর, চিলমারী, ভুরঙ্গামারী, উলিপুর, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও সদর উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী চর-দ্বীপ ও নিম্নাঞ্চল। সড়ক তলিয়ে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ডুবেছে পাট, আমন বীজতলাসহ ও মৌসুমী ফসলের ক্ষেত। পানি বন্দী অন্তত ২০ হাজার পরিবার।
যমুনা ও ব্রক্ষ্মপুত্রের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ,সরিষাবাড়ি ও মাদারগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। আগামী ৩দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নেত্রকোনায় উব্দাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এখনও বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ না করলেও কিছু কিছু গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে।
এইচএসসি পরীক্ষা পেছাতে আবেদন আইনজীবীর
বন্যা ও বৃষ্টির কারণে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা পেছাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে এই আবেদন করেন আইনজীবী মনির উদ্দিন। আবেদনটি সরকারি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।
আবেদনে মনির উদ্দিন বলেন, ২০২৪ সালের এইজএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অশনি সংকেত। যারা অংশগ্রহণ করেছে তারা প্রথম পরীক্ষার দিনই কাকভেজা শরীর নিয়ে তিন ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আবার দ্বিতীয় পরীক্ষার দিন বৃষ্টিতে ভিজে পরীক্ষা দিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক পরীক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন অংশ বন্যা আক্রান্ত, তাছাড়া বাকি অনেক অংশের নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যার কারণে অভিভাবকসহ অনেকে তাদের সন্তানদের পরীক্ষা কেন্দ্রে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে বা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তাই তাদের পরীক্ষা বর্ষাকালের পরে বা দুই মাস পরে নিলে আর সমস্যা থাকার কথা নয়। বন্যা কবলিত সব স্থানে পরীক্ষা স্থগিত আছে, তারাসহ সবাই একযোগে পরীক্ষা দিতে পারবে।
আবেদনে তিনি আরও বলেন, তাই আপনি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিলে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অনেক উপকার হবে।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে গত ৩০ জুন (রোববার)। সিলেট বোর্ডসহ আরও কয়েকটি জেলা-উপজেলায় ছাড়া সারাদেশে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলমান রয়েছে। এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার। মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৭২৫টি। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭ লাখ। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার এবং ছাত্রী সংখ্যা পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার। আলিম পরীক্ষায় ৮৮ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার এবং ছাত্রী সংখ্যা ৪০ হাজার। কারিগরি বোর্ডে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্সে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ৩৪ হাজার। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৬৯ হাজার এবং ছাত্রী ৬৫ হাজার।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী, সাধারণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা গত ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে আগামী ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে। বিদেশে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মোট ২৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপোলিতে দুটি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবিতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি এবং ওমানে ২৬টি।