ম্যাপিং প্রতিযোগিতায় তিন হাজার ডলার জিতলো মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির দল
- মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১০ PM
বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)-এর ইউথম্যাপার্স চ্যাপ্টারের পাঁচ সদস্যের একটি দল ‘ঢাকা থ্রাইভ চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। প্রতিযোগিতার লিডারবোর্ডে তারা ৩টি সেগমেন্টের ৩টি তেই টপ ফাইভ কন্ট্রিবিউটর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সম্মিলিতভাবে অর্জন করেছে মোট ৩,০০০ ডলার।
টপ কন্ট্রিবিউটররা হলে ফিদা হাসান, আবু সাইদ আল-ইমাম, তাসিন জামান, শানজি রহমান ও রনিত রায়। তারা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সেগমেন্টে সামগ্রিকভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই প্রাইজ মানি অর্জন করেছেন। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ইউথম্যাপার্স সদস্যরাসহ, পুরো ঢাকার প্রায় ৩০ জন অংশগ্রহণ করে। সেগমেন্ট তিনটি ছিল—
১. হ্যাজার্ড পয়েন্ট ম্যাপিং (যেমন বন্যাপ্রবণ এলাকা, খোলা ড্রেনেজ, অবৈধ বর্জ্য ফেলা, উন্মুক্ত বৈদ্যুতিক তার)।
২. লাইফলাইন ফ্যাসিলিটি সনাক্তকরণ (যেমন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র, উপাসনালয়, পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা ইত্যাদি)।
৩. স্ট্রিট-লেভেল ইমেজারি ক্যাপচার ( Mapillary ব্যবহার করে)।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে ওপেন ম্যাপিং হাব এশিয়া-প্যাসিফিক ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা থ্রাইভ প্রজেক্ট চালু হয়। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকার অনানুষ্ঠানিক বসতিগুলোর জন্য নির্ভুল ও হালনাগাদ ওপেন জিওস্পেশাল ডেটা তৈরি করা, যা নগর পরিকল্পনা, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও টেকসই উন্নয়নে সহায়ক হবে।
প্রথম ধাপে (২০২৪ সালে) রাজধানীর ৪১টি বস্তি থেকে ৯৩২টি পয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট (POIs) সংগ্রহ করা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে ছিল স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পানির উৎস, স্যানিটেশন সুবিধা এবং ডেঙ্গু প্রজনন ক্ষেত্র, প্লাবন এলাকা ও উন্মুক্ত বৈদ্যুতিক তারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থান।
২০২৫ সালে দ্বিতীয় ধাপে আয়োজন করা হয় ঢাকা থ্রাইভ চ্যালেঞ্জ, যা চলে ১৯ জুলাই থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় কমিউনিটি, স্বেচ্ছাসেবী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে প্রশিক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে কার্যকর নগর স্থিতিশীলতা গড়ে তোলা।
এ বিষয়ে টপ কন্ট্রিবিউটর শানজি রহমান বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য শুধু একটি অর্জন নয় বরং দলগত পরিশ্রম এবং মনের দৃঢ়তার ফল। আমরা বিশ্বাস করি এই অর্জন ভবিষ্যতে আমাদের আরো অনুপ্রাণিত করবে এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের জীবন যাত্রার মানের ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে সাহায্য করবে।‘
ঢাকা থ্রাইভ প্রজেক্টের মাধ্যমে তৈরি মানচিত্র ও তথ্য বিভিন্ন মানবিক সংস্থা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দাদের জন্য কার্যকর নীতিনির্ধারণ ও টার্গেটেড হস্তক্ষেপে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, এটি ঢাকার অনানুষ্ঠানিক বসতিগুলোকে জলবায়ু সহনশীল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।