আইইউবিতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা সপ্তাহ সমাপ্ত, রক্তসেতুর নতুন অ্যাপের বেটা সংস্করণ উদ্বোধন
- আইইউবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৪৪ PM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৭ AM
চার দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) শেষ হলো রক্তসেতু আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা সপ্তাহ। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) আয়োজনের শেষ দিনে উদ্বোধন করা হয় রক্তদাতাদের সংযোগের জন্য তৈরি রক্তসেতু অ্যাপের বেটা সংস্করণ।
১১ থেকে ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে তিনটি প্রধান কার্যক্রম ছিল স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কুইজ প্রতিযোগিতা এবং মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন।
প্রথম দুই দিন চলা রক্তদান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবীদের অংশগ্রহণে সংগৃহীত হয় ৭০ ব্যাগের বেশি রক্ত। আয়োজক রক্তসেতুর পাশাপাশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হাসপাতাল (বিটিএসএইচ) এ সময় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং স্বল্প মূল্যে থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং সেবা প্রদান করে।
তৃতীয় দিনে, ১৩ আগস্ট, অনুষ্ঠিত হয় থ্যালাসেমিয়া-বিষয়ক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কুইজ প্রতিযোগিতা। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২টি দল অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে ছিল ব্র্যাক, এনএসইউ, ইস্ট ওয়েস্ট, জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা এবং আইইউবি। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম বিটাব্লকার্স। রানারআপ হয় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম তাহসিন, আর তৃতীয় স্থান লাভ করে আইইউবির টিম কিটি পজ।
শেষ দিনে (১৪ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হয় কর্মসূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রক্তসেতু মোবাইল অ্যাপের বেটা সংস্করণ উদ্বোধন। এ অ্যাপটি রোগী ও রক্তদাতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আয়োজকদের প্রত্যাশা।
অ্যাপের বেটা সংস্করণে রয়েছে তাৎক্ষণিক নোটিফিকেশন, লোকেশনভিত্তিক এসএমএস অ্যালার্ট, টেলিগ্রাম আপডেটের মাধ্যমে দ্রুত যোগাযোগের সুবিধা
আয়োজকরা জানান, শিগগিরই অ্যাপের ভার্সন–১ চালু হবে, যেখানে যোগ হবে লাইভ ডোনার ট্র্যাকিং, উন্নত অনুসন্ধান, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ও ব্যক্তিগতকৃত সেবা।
অতিথিদের উপস্থিতি ও বক্তব্য সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক এম. তামিম, বিটিএসএইচ–এর নির্বাহী পরিচালক একে এম একরামুল হোসেন, এ অ্যান্ড এ গ্লোবাল কনসালট্যান্টের ম্যানেজিং পার্টনার আসির হক এবং এস্কো বাংলাদেশের প্রতিনিধি।
উপাচার্য অধ্যাপক এম. তামিম বলেন, শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনাতেই নয়, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতেও নেতৃত্ব দিচ্ছে—এই আয়োজন তারই প্রমাণ।
রক্তসেতুর প্রতিষ্ঠাতা আইইউবির শিক্ষার্থী কে এম ফেরদৌস হাসান ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তি ও সামাজিক উদ্যোগের সমন্বয়ের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের পাশে দাঁড়ানো এবং বাংলাদেশের রক্তদান ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা।’
অনুষ্ঠান শেষে রক্তসেতু সব অংশগ্রহণকারী, স্বেচ্ছাসেবক ও স্পন্সরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।