ঢামেক হাসপাতাল ঘিরে ফুটপাত দখল, দেখার কেউ নেই

ঢামেক হাসপাতালের ফুটপাত দখল করে চলছে বেচাকেনা।
ঢামেক হাসপাতালের ফুটপাত দখল করে চলছে বেচাকেনা।  © টিডিসি ফটো

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফুটপাতে আগে হাতে গোনা কয়েকটি দোকান থাকলেও এখন গড়ে উঠেছে অসংখ্য অস্থায়ী দোকান। জরুরি বিভাগের গেট থেকে শুরু করে শহীদ মিনার গেট পর্যন্ত ফুটপাথজুড়ে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। এতে রোগী ও স্বজনদের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়।

অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাত থেকে দৈনিক অন্তত দুই লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। সে হিসেবে মাসে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আদায় করে একটি সক্রিয় চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। এই চাঁদাবাজ ও দালালচক্রের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তি, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কয়েকজন অসৎ কর্মচারী নেতা, পাশাপাশি পুলিশের কিছু সদস্য ও হাসপাতাল প্রশাসনের একটি অংশ।

আরও পড়ুন: ঢামেকে যন্ত্রপাতি আংশিক অচল, জনবল সংকট তীব্র—সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা মো. সোহাগ নামে একজন দোকানদার বলেন, ‘আমি আগে এখানে ছিলাম না। এখন এসেছি চারটা ডালভাত খাওয়ার জন্য। আগে দোকান বসাতে হলে চাঁদা দিতে হতো। কিন্তু এখন আর কেউ কিছু চাঁদা দিতে বলে না, হুমকিও আসে না। তাই সবাই দোকান দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে কিছু দোকানের জন্য আমাদের সবাইকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শহীদ মিনার গেটের দিকটায় দোকানগুলো বেশি সমস্যা করছে। আগে যারা দোকান বসাতো তারা নিয়ম মেনে চলত। এখন চাঁদা না লাগায় সবাই জায়গা দখল করে নিচ্ছে। এতে রোগী ও স্বজনদের চলাচলে বাধা তৈরি হচ্ছে। 

হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, বারবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কিছু সময় পর পুনরায় সেখানে দোকানপাট গড়ে ওঠে। ফলে রাস্তার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং পথচারী ও রোগীদের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সিটি করপোরেশন ও ট্র্যাফিক বিভাগের আওতাভুক্ত হওয়ায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে।

এসব বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানের বক্তব্য নিতে গেলে তার সাক্ষাৎ মেলেনি। পরে সহকারী পরিচালকের কাছে গেলেও তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!