কেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিবেদনে মিলল উত্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০২:৪০ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০২:৪৯ PM
আমাদের দেশে ডাক্তাররা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে চান না বলে একটা অভিযোগ আছে। ভারত, সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ডের হাসপাতালের চিকিৎসকরা বেশি ফি নিলেও রোগীকে বেশি সময় দেন। বিদেশীরা বাংলাদেশের মানুষের সাইকোলজি স্টাডি করে। তারা জানে কী করলে বাংলাদেশীরা খুশি হন এবং তারা সেটাই করে। ফলে রোগীরা বিদেশে যান। সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশটিতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বাংলাদেশীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে চিকিৎসা পর্যটনে আসা মোট বিদেশীর মধ্যে বাংলাদেশীর হার দাঁড়ায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি।
তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৫ জন। এর মধ্যে বাংলাদেশীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৪ জন, যা ওই বছরের মোট চিকিৎসা পর্যটকের ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২২ সালের মধ্যে চিকিৎসা পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কমে নেমে আসে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮১ জনে। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৫। চিকিৎসা পর্যটনে আসা মোট বিদেশীর মধ্যে এ হার দাঁড়ায় ৬৯ শতাংশে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটিতে মোট চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা ছিল কমবেশি ৬ লাখ ৩৫ হাজার। এর মধ্যে বাংলাদেশী চিকিৎসা পর্যটক ছিল ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭০ জন যা দেশটিতে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়াদের মোট সংখ্যার প্রায় ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে এ চিত্রের আমূল পরিবর্তন দেখা দিয়েছে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর। ভারতের চিকিৎসা ভিসা চালু করা হলেও তা পাচ্ছে কম সংখ্যক আবেদনকারী। এ অবস্থায় ভারতের পরিবর্তে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোকে বেছে নিচ্ছে বাংলাদেশীরা।