মাইক্রোওয়েভে খাবার গরমে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ AM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭ AM
নিত্যদিনের ব্যস্ত জীবনে দ্রুত খাবার গরম করার সহজ মাধ্যম হিসেবে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। যে-কোনো খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলেই ওভেনে তা গরম করে তারপর খেয়ে থাকেন অনেকে। বর্তমানে শীতের আগমনে এখন তো এটি আরও বেশি ব্যবহার হচ্ছে। ওভেন না থাকলে অনেক গৃহিণীর মনই ভরে না। একদিকে বাইরে থেকে আনা খাবার গরম করা, অন্যদিকে অল্প তেলে অথবা তেল ছাড়া রান্নার জন্য অনেকেই ওভেনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু জানেন কি, নিয়মিত মাইক্রোওয়েভে রান্না খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর?
স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিদদের মতে, মাইক্রোওয়েভে খাবার অসমভাবে গরম হওয়ায় অনেক সময় ক্ষতিকর জীবাণু সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয় না। এতে পেটের অসুখ, ফুড পয়জনিংসহ নানা ধরনের খাদ্যবাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে আগে রান্না করা খাবার বারবার গরম করলে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মাইক্রোওভেনে গরম করা খাবারে ভিটামিন বি-১২ অকার্যকর করে পড়ে। খাবার গরম করার সময় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি-১২ নষ্ট হয়ে যায়। দুধ ও মাংসজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ থাকে। এসব খাবার মাইক্রোওভেনে গরম করার পর খাদ্যগুণ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া খাবার গরম করার পর কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয় যেমন- বেঞ্জিন, জালান। এসব উপাদান খাবারের সঙ্গে শরীরে প্রবেশের পর ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগ তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন : রাতে অপর্যাপ্ত ঘুমে কমতে পারে শুক্রাণুর মান, ঘুমের সঙ্গে টেস্টোস্টেরন হরমোনের সম্পর্ক কী
সবচেয়ে বড় ঝুঁকির বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার। অনেকেই প্লাস্টিকের বক্স বা প্যাকেটসহ খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করেন। এতে প্লাস্টিক থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস বজায় থাকলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, লিভার ও কিডনির জটিলতার পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ওভেনে ডিম, দুধ, মাংস, মাশরুমজাতীয় খাবার গরম করে খাওয়া ক্ষতিকর।
তবে মাইক্রোওয়েভে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। বিশেষজ্ঞরা একদমই রান্না করতে নিষেধ করছেন না। সঠিক নিয়মে রান্না করলে বা গরম করলে খাওয়া যেতে পারে।
ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, গ্লাস বা সিরামিকের পাত্র ব্যবহার করা, মাইক্রোওয়েভ-সেফ চিহ্নিত পাত্র ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার না করা, খাবার একাধিকবার গরম না করা এবং গরম করার সময় খাবার নেড়ে সমানভাবে গরম হওয়া নিশ্চিত করা।
সূত্র : কলকাতা ২৪, কন্টিনেন্টাল হসপিটাল