মুখমণ্ডলের ব্রণ ফাটানোর অভ্যাস ভালো না খারাপ?
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ AM
মুখে ব্রণ বের হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থির নালি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্রণ হয়, যেখানে মৃত কোষ ও তেল জমে যায় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ক্ষত সৃষ্টি হয়। হরমোনের পরিবর্তন, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি, স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর খাবার, এবং অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেও ব্রণ হয়। অনেকেই এটি ফাটিয়ে ফেলেন। কিন্তু একটি বিশেষ স্থানের ব্রণ ফাটালে, তা পক্ষাঘাতের (paralysis) কারণ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়া মুখমণ্ডলের আরও কিছু স্থানের ব্রণ ফাটালে বিপদ হতে পারে। চলুন জেনে নিই কোন অংশের ব্রণ ফাটানো একদমই ঠিক নয়-
১. দুই ভ্রুর মাঝে যদি কোনও ব্রণ তৈরি হয়, তা হলে তা না ফাটানোই ভালো। অন্যথায় পক্ষাঘাত হতে পারে। দুই ভ্রুর সংযোগস্থলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুগুলি মিলিত হয়। এই স্নায়ুগুলি সরাসরি মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে এখানকার কোনও ব্রণ ফাটালে সংক্রমণ মস্তিষ্কে চাপ তৈরি করতে পারে। ফলে দেহ পক্ষাঘাতগ্রস্তও হয়ে পড়তে পারে। ঘন ঘন খিঁচুনি হতে পারে। একাধিক রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তবে তাঁদের অনেকেরই মস্তিষ্কের একটি অংশ চিরকালের জন্য পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছে।
২. চোখের চারপাশের ব্রণ ফাটানো খুবই বিপজ্জনক। এখানে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে এবং চোখের সংক্রমণ বা চোখের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৩. নাকের চারপাশে ব্রণ ফাটালে রক্তনালীর মাধ্যমে ইনফেকশন মস্তিষ্কের দিকে ছড়িয়ে যেতে পারে। এটি ‘ডেঞ্জার ট্রায়াঙ্গল’ হিসেবে পরিচিত এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া মুখের তলা বা গলার ব্রণ ফাটালে ইনফেকশন শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে।
কী করা উচিত
দুই ভ্রুর মাঝে ফুসকুড়ি তৈরি হলে তা না ফাটিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। ব্রণের সংখ্যা বা আকার বড় হলে চর্মরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এছাড়া নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা, ত্বক পরিষ্কার রাখতে হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।