পিরিয়ডে ব্যথা, দুর্বলতা, বদমেজাজ—সঠিক খাবারে মিলবে স্বস্তি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ০৫:০৮ PM , আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ১২:৫১ PM
মাসিক চলাকালীন নারীদের দেহে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়। কারও পেট ব্যথা করে, কারও মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কেউবা ভোগেন কোষ্ঠকাঠিন্যে বা অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছায়। কারও বমি বমি ভাব হয়, কেউ আবার মিষ্টি খেতে চান বেশি। এসব উপসর্গ সামাল দিতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ সময় খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে আয়রন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, কারণ পিরিয়ডের সময় দেহ থেকে রক্তক্ষরণের ফলে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাই মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, পুঁইশাক, কচুশাক, ডাঁটাশাকের মতো খাবার খাওয়া উচিত। তাছাড়া ফলমূলের মধ্যে তরমুজ, পাকা তেঁতুল, কালো জাম, খেজুর, আমড়া এবং শাকসবজির মধ্যে ছোলাশাক ও ধনেপাতা আয়রন ঘাটতি পূরণে সহায়ক।
সামুদ্রিক মাছ যেমন ইলিশ, কোরাল, রূপচাঁদা, বেলে, চিংড়ি ও লইট্টা মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, মিনারেল, ভিটামিন এ ও ডি সরবরাহ করে, যা ব্যথা কমাতে এবং শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সহায়ক। ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি পূরণে কলা খাওয়া উপকারী, কারণ এতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম ও ভিটামিন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি, কারণ এই সময় দেহ থেকে প্রচুর তরল বের হয়ে যায়। তবে চা, কফি ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
ভিটামিন সি আয়রনের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে, তাই পেয়ারা, আমলকী, আমড়া, লেবু, জলপাই, জাম্বুরা ও পাকা টমেটোর মতো ফল খাওয়া ভালো। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক।
এই সময়ে কিছু খাবার থেকে বিরত থাকা ভালো। অতিরিক্ত তেলচর্বিযুক্ত খাবার শরীরের ওজন বাড়াতে ও অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। মিষ্টিজাত খাবার বেশি খাওয়া রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে মন-মেজাজ খারাপ করে দিতে পারে। বেশি লবণ খাওয়ার ফলে শরীরে পানি জমে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে, তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকেও দূরে থাকা উচিত। চা ও কফিতে থাকা ক্যাফেইন পেটের ব্যথা ও অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং বুক ধড়ফড় করতে পারে। দুধজাতীয় খাবার যেমন পনির, চিজ বা আইসক্রিম বেশি খেলে পেট ফেঁপে যায় বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস মানলে মাসিকের সময় শরীর ও মন কিছুটা স্বস্তি পায়, যা নারীস্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।