একজন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী অন্যের জন্য কতদিন বিপজ্জনক

ওমিক্রণ আক্রান্ত রোগী
ওমিক্রণ আক্রান্ত রোগী  © সংগৃহীত

বিশ্ব জুড়ে যে দ্রুত গতিতে কোাভিডের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে নতুন করে বিপদে পড়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার। বিভিন্ন দেশে নতুন করে নানা বিধিনিষেধ চাপানো হচ্ছে।

এ যাবত করোনাভাইরাসের যেসব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, অমিক্রন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। ভ্যাকসিনও একে আটকাতে পারছে না। ফলে অনেক মানুষ পুনরায় আক্রান্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১১৪ আসনের বিপরীতে মেডিকেলের দ্বিতীয় মাইগ্রেশন

অবশ্য এখন এখন পর্যন্ত পাওয়া গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে ওমিক্রন অপেক্ষাকৃত দুর্বল। এই ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর দ্রুততর সময়ে রোগীর ভেতর উপসর্গ দেখা দেয়।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ থেকে ছয় দিন পর রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই সময় ছিল চার দিনের মতো।কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে শরীরে ফুটে উঠতে শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ওমিক্রনের উপসর্গ তিন দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে পড়ছে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা গড়ে পাঁচ দিন।

বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন, করোনাভাইরাসের রোগীরা আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হন।

ওমিক্রনের ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগীর শরীরে উপসর্গ দেখা দেওয়ার একদিন বা দু’দিন আগেই সে অন্যকে আক্রান্ত করতে পারে। এরপর উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত সে অন্যের জন্য ঝুঁকি থাকবে।

ড. সোরিয়ানো বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ওমিক্রন ভাইরাস মাত্র পাঁচ দিনের জন্য সংক্রামক থাকে। অর্থাৎ কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তিন থেকে পাঁচ দিন সে অন্য যে কাউকে সংক্রামিত করতে পারে।’

আরও পড়ুন: প্রভোস্ট পদত্যাগের আন্দোলন যেভাবে ভিসি বিরোধী আন্দোলনে রূপ নিলো

তবে কিছুটা স্বস্তি যে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও, হাসপাতালে চাপ বাড়ছে না। প্রমাণিত হয়েছে যে যাদের কমপক্ষে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া আছে তাদেরকে অমিক্রনে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে না বা তাদের মৃত্যু ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছেনা।

এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন সহ বেশ কিছু দেশে আক্রান্ত রোগীর বাধ্যতামূলক আইসোলেশন বা ঘরে আলাদা হয়ে থাকার সময়সীমা পাঁচদিনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ