কোভিড চিকিৎসার বড়ি নিয়ে আসছে বেক্সিমকো

ফাইজারের মুখে খাওয়ার বড়ি প্যাক্সলোভিড-এর জেনেরিক সংস্করণ
ফাইজারের মুখে খাওয়ার বড়ি প্যাক্সলোভিড-এর জেনেরিক সংস্করণ  © সংগৃহীত

দেশের ঔষধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ফাইজারের মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট প্যাক্সলোভিড-এর জেনেরিক সংস্করণ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বেক্সোভিড নামে এই ওষুধ বাজারজাত করবে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এ ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুনকরোনা আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় কার?

নতুন ওই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে জানা যায়, করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক কোভিড রোগীদের মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি ৯০ পর্যন্ত কমিয়ে আনে। এছাড়াও করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও বড়িটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) ১২ বছর বা তার বেশি বয়সি শিশুসহ প্রাপ্তবয়স্কদের হালকা থেকে মাঝারি করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার এই ওষুধের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে, ২২ ডিসেম্বর ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) করোনা চিকিৎসার জন্য প্রথম মুখে খাওয়ার ওষুধ হিসেবে প্যাক্সলোভিডের অনুমোদন দেয়।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান কোভিড-১৯ এর নতুন এ ট্যাবলেট সর্ম্পকে বলেন, মহামারির বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হওয়ার সম্ভাবনা আছে
বেক্সোভিড ট্যাবলেটের।

আরও পড়ুন: আড়াই মাসের মধ্যে করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত

প্রসঙ্গত, কোভিডের চিকিৎসায় প্রথম অনুমোদিত বড়ি মলনুপিরাভির। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তাদের তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকা কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারছে বলে প্রমাণ মিলে ছিল।

গত নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো ‘মলনুপিরাভির’ বড়ি ব্যবহার করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে ছিল যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। করোনায় আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে মলনুপিরাভির বড়ি দিনে দুবার প্রয়োগ করতে বলা হয়েছিল।


সর্বশেষ সংবাদ