ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আসলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপের শঙ্কা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৩৮ PM , আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৩৮ PM
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক তথ্য-উপাত্ত মূল্যায়ন করে একদল বিশ্লেষক বলছেন, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক তথ্য উপাত্ত, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা পদক্ষেপ, ভাইরাসের বিস্তারের ধরন - এমন নানা কিছু বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকদের দলটি যে সম্ভাব্য চিত্র তৈরি করেছে তাতে একথা বলা হয়।
বাংলাদেশের বিশাল সীমান্ত ভারতের সাথে। তাই আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ যতই বন্ধ থাকুক- তাতে সেখানকার ভাইরাস আসবে না এই নিশ্চয়তা নেই, বলেন বিশ্লেষক দলটির প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল।
তিনি বলেন, ‘ভারতে এর ব্যাপকভাবে বিস্তার হচ্ছে এবং সেখানে ভাইরাসের ডাবল ভ্যারিয়েন্টের কথা বলা হচ্ছে।’
‘অন্যদিকে আমরা আগে ধারণা দিয়েছিলাম যে সেকেন্ড ওয়েভের চূড়া বা পিক আসবে মে মাসের শেষে বা জুনের দিকে। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই স্বল্প মাত্রায় লকডাউনসহ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
ড. শাফিউন বলেন, ‘এখন আমাদের মডেল বলছে যে জুলাইতে আসতে পারে সেকেন্ড ওয়েভের পিক বা চূড়া। তবে স্বাস্থ্যবিধি সবাই ঠিক মতো মানলে সেটি তেমন খারাপ নাও হতে পারে।’
এখানে পিক বা সর্বোচ্চ চূড়া বলতে দিনে অন্তত ১০/১২ হাজার সংক্রমণ শনাক্ত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ড. শাফিউন নাহিন শিমুল যে দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কনসোর্টিয়ামের অংশ হিসেবে কাজটি করছেন এবং তাদের প্রতি দু’সপ্তাহ পর পর সেখানে বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য চিত্র সম্পর্কে একটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করতে হয়।
বাংলাদেশী বিশ্লেষকদের দলটির আনুষ্ঠানিক নাম বাংলাদেশ কমো মডেলিং গ্রুপ। অক্সফোর্ডের ওই কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে ৪২টি দেশের গবেষক ও বিশ্লেষকরা কাজ করছেন।
বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কিত সম্ভাব্য চিত্র সম্বলিত এ ধারণাপত্রটি গত ৩০ মার্চ সরকারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হবার পর এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ জন। তবে এবার মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়েই চলছে।
মূলত বাংলাদেশের চলমান তথ্য উপাত্ত ও বৈশ্বিক তথ্যাদির ভিত্তিতে একটি গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে সম্ভাব্য চিত্র তৈরির কাজ করেন তারা - যাতে দেশের চলমান অবস্থা, সরকারের পদক্ষেপ, মানুষের আচরণ এসব বিষয় গুরুত্ব পেয়ে থাকে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা