নির্বাচনে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গঠন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৮ PM
নির্বাচনের আগে বা পরে আচরণবিধি লঙ্ঘন, অনিয়ম বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তে কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন বিষয়ক-১) সাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০টি নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি গঠন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)'- এর কর্মকর্তাগণ নির্বাচনি দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকবেন এবং অত্র প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে উক্ত কর্মকর্তাগণ নিজ দপ্তর হতে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত (stand released) মর্মে গণ্য হবেন।
‘নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)'-এর কর্মকর্তাগণ দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনি এলাকায় এই নিয়োগপত্রের বিপরীতে সিনিয়র সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করতঃ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করবেন। প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের সময় পর্যন্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)'-এর কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবেন মর্মে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল-ডেন্টালের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ
বর্ণিত নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)' কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে উপরিউক্ত নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান পূর্বক ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার উক্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদন সিনিয়র সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর প্রেরণ করবেন এবং অতিসত্ত্বর উক্ত প্রতিবেদন পিডিএফ ফরমেটে অত্র সচিবালয়ের আইন অনুবিভাগের উপসচিব (আইন বিষয়ক-১ শাখা) (sas_la1 ) এর ইন্টারনাল একাউন্টে প্রেরণ করবেন।
বর্ণিত নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)' কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ এর লঙ্ঘনজনিত কারণে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১খ (৩) অনুচ্ছেদের আওতাধীন অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য তাহলে উক্ত নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি উক্ত আদেশের ৯১কক অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে উক্ত অপরাধের বিচার করতে পারবেন।
বর্ণিত নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)' দায়িত্ব পালনকালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩, ৭৫ ও ৭৭ এর আওতাধীন কোন অপরাধ উক্ত আদেশের ৯১ কক অনুচ্ছেদ মোতাবেক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করতে পারবেন।
নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)' কর্তৃক দায়িত্ব পালনকালে ০১ (এক) জন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের নিজ নিজ অফিস প্রধানকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ৯। বর্ণিত কমিটির কর্মকর্তাগণের চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিকভাবে জীপগাড়ী বা মাইক্রোবাস বা স্পীডবোট এবং ক্ষেত্রমত প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের জন্য সকল জেলা প্রশাসককে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর, কবে কোন ইউনিট
নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে কমিটির কর্মকর্তাগণের সহিত পুলিশ বাহিনীর ০২ (দুই) জন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সকল পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এছাড়াও বর্ণিত কমিটি কোন অনুসন্ধান বা বিচারকার্য পরিচালনার নিমিত্ত উক্ত কমিটির চাহিত মতে প্রয়োজনীয় স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৯ক(২) মোতাবেক সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপার/স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ/অন্য কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কমান্ডার/ইনচার্জ-কে অনুরোধ করা হলো।
নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি (Electoral Enquiry and Adjudication Committee)'-এর কর্মকর্তাগণ ও সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ সহকারী/স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারী বিধি মোতাবেক যাতায়াত ভাতা/দৈনিক ভাতা (টিএ/ডিএ) প্রাপ্ত হবেন।