বিধি লঙ্ঘন করে রাজনীতিতে মডেল মসজিদের ইমাম, পদ পেলেন এনসিপিতে

লালপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইনসেটে মাওলানা মুফতি সাজ্জাদ হোসেন
লালপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইনসেটে মাওলানা মুফতি সাজ্জাদ হোসেন  © টিডিসি সম্পাদিত

নাটোরের লালপুর উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি সাজ্জাদ হোসেনকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, গত ১৮ জুন ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’ কর্তৃক ঘোষিত লালপুর উপজেলা কমিটিতে মুফতি সাজ্জাদ হোসেনকে সদস্য করে একটি কমিটি প্রকাশ করা হয়। এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের যৌথ স্বাক্ষরে প্রকাশিত তালিকায় তার নাম থাকায় স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। 

এ ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০১৮ সালে জারি করা আচরণবিধিতে উল্লেখ আছে—সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত মডেল মসজিদের ইমাম বা খতীব কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।

আরও পড়ুন: টিউশনির পাশাপাশি পাঠাওয়ে কাজ করা জুলাইযোদ্ধা কাতরাচ্ছেন বিছানায় 

স্থানীয় মুসল্লিরা বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন যার পেছনে নামাজ আদায় করি, তিনিই যদি রাজনৈতিক দলের নেতা হন—তাহলে তার ওপর ধর্মীয় নিরপেক্ষতার আস্থা কোথায় থাকবে? মসজিদের পবিত্রতা বজায় রাখতে হলে ইমামদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত। কিন্তু রাজনৈতিক ব্যানারে নেতৃত্বে আসা একজন ইমামের মাধ্যমে কি মিম্বর আর রাজনৈতিক মঞ্চ আলাদা থাকে?’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাওলানা মুফতি সাজ্জাদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মুফতি সাজ্জাদ হোসেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। তখন তার রাজনৈতিক কোনো সম্পৃক্ততার তথ্য আমাদের জানা ছিল না। এখন যদি তিনি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের পদে থাকেন, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ