বাংলাদেশের যে কৌশলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হলো মিয়ানমার

  © সংগৃহীত

মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য উপযুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের কূটনীতিতে যা অন্যতম বড় সাফল্য। দীর্ঘ আট বছর বাংলাদেশের গলার কাঁটা, বিশেষ করে স্থানীয়দের জন্য বিষফোঁড়া হিসেবে আটকে থাকা এই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে কীভাবে মিয়ানমারকে রাজি করাল বাংলাদেশ। কোন কৌশলের কারণে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার, তা জানা গেল।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের শক্তিশালী অবস্থানের কথা। যেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানের ভূমিকাও তুলে ধরেছেন তিনি।

উপ-প্রেস সচিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘রয়টার্স, ইএফই এবং ওয়াশিংটন পোস্টের মতো একাধিক সংবাদমাধ্যমে আমি (ড. খলিলুর রহমান) প্রায় দুই দশক ধরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেছি, ক্যাম্পের প্রতিটি কোণে গিয়েছি এবং তাদের দুর্দশা সম্পর্কে অনেক গল্প লিখেছি, বিশেষ করে ২০১৭ সালের গণহত্যার পর।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে আমি সংকটের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করার এত কাছাকাছি পৌঁছে যাব, যা অবশেষে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাবাসনের দরজা খুলে দেবে।’

এরপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্যাংককে বাংলাদেশ সরকারের শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরে তিনি জানান, ‘গতকাল ব্যাংককে বাংলাদেশ প্রথমে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানায়, কারণ তাদের নেতা বিআইএমএসইসি ভাষণে রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বাঙালি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। পরে মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে রাজি হওয়ার পরেই এই বৈঠকটি হয়।’

রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসরে কাজ করা ড. খলিলুর রহমানের প্রশংসা করে আজাদ মজুমদার লেখেন, ‘উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান কীভাবে পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন, তা দেখে আমি অবাক হয়েছি। অভিবাদন।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence