মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধুসহ যা যা বাদ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শপথ ফিরলো আগের রূপে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৭ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫০ PM
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শপথ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে না দেয়ার প্রত্যয় ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার অংশগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। শপথ বাক্যটি ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে আগের রূপে। অর্থাৎ নব্বই দশক ও একবিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে শপথ নেয়া হতো পুনরায় সে শপথ বাক্যটিই ফের পাঠ করতে বলা হয়েছে।
নতুন শপথ বাক্যটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিটিআইয়ে জাতীয় সঙ্গীতের পর পাঠের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এ আদেশ জারি করা হয়।
নতুন শপথ বাক্যটিতে বলা হয়েছে, ‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিবো। দেশের প্রতি অনুগত থাকিবো। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’
নব্বই দশক ও একবিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে যারা শিক্ষার্থী ছিলেন তারা জানিয়েছে, তারাও শিক্ষাজীবনে এ শপথবাক্যটিই পাঠ করেছেন।
আরও পড়ুন : বদলে গেলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘শপথ বাক্য’
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি এক আদেশে শপথ পরিবর্তন করা হয়েছিল।
সে সময় জাতীয় সঙ্গীতের পর যে শপথটি পাঠ করতে বলা ছিল তা হল, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’