প্রতিশোধ নয়, হতাশাই সঙ্গী হলো বাংলাদেশের

বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ
বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ   © বাফুফে

প্রায় তিন বছর আগে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই হারের শোধ নিতে ফের একই মাঠে নেমেছিল লাল-সবুজেরা। কিন্তু বাস্তবে হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা খেললেন নিষ্প্রাণ আর সাদামাটা ফুটবল। এতে প্রথম প্রীতি ম্যাচে গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো।

অবশ্য, প্রথমার্ধেই বেশ কিছু উত্তেজনার দেখা মেলে। ম্যাচের দশম মিনিটে সুমন রেজা শট জাল স্পর্শ করলেও, অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। ৩০তম মিনিটে নেপালের মনি কুমার লামার ফ্রি-কিক থেকে হেড করেন অনন্ত তামাং, কিন্তু অভিষিক্ত গোলরক্ষক সুজন হোসেন তা রুখে দেন। এরপর ৩৯তম মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে সুযোগ পেয়েও সুমনের শট চলে যায় ক্রসবারের ওপরে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় কিছু পরিবর্তন এসেছিল, কিন্তু ম্যাচের ফলে নয়। ৫১তম মিনিটে রহমত মিয়ার লং থ্রো থেকে তৈরি হয় সুযোগ, কিন্তু নেপালের গিলেস্পি জুং কার্কি হেডে বিপদ কাটান। 

৬৫তম মিনিটে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার জায়গায় কাজেম শাহ ও সাদ উদ্দিনের পরিবর্তে তারই ছোট ভাই তাজউদ্দিন মাঠে নামেন। তবে গোলের দেখা মেলেনি। 

৭৬তম মিনিটে তাজ উদ্দিনের দূরপাল্লার শট সহজেই তালুবন্দি করেন কিরণ চেমজং। ৮১ মিনিটে রাকিব হোসেনের ক্রসে বল পান আরিফ হোসেন, কিন্তু মাথা ছোঁয়াতে পারেননি।  ৮৫তম মিনিটে বড় ভাইয়ের মতো তাজও দেখেন হলুদ কার্ড।

আগামী অক্টোবরে হংকংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে প্রস্তুতিতে দুটি ম্যাচ সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। তবে প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির কিছুই নেই। কোচ কাবরেরা নিশ্চয়ই ৯ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বেশি আক্রমণাত্মক, গোছানো ও ফলপ্রসূ ফুটবল দেখতে চাইবেন।


সর্বশেষ সংবাদ