‘স্যার’ ডেভিড বেকহাম, ফুটবলের রাজপুত্র পেলেন নাইটহুড সম্মাননা

ডেভিড বেকহাম
ডেভিড বেকহাম  © সংগৃহীত

ইংল্যান্ড ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি ডেভিড বেকহাম। তিনি ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ফ্যাশন আইকন।  অবশেষে তিনি পেলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান—নাইটহুড। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার এই ‘রাজপুত্র’-কে ‘স্যার’ উপাধিতে ভূষিত করল।

ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয় আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৯ বছর বয়সী সাবেক এই ফুটবল তারকাকে নাইটহুড প্রদান করেন। রাজপরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘স্পোর্টস, চ্যারিটি ও আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ায় বেকহামের অবদানের জন্য তাকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে।’

বেকহাম বহু বছর ধরেই এই স্বীকৃতির দাবিদার ছিলেন। ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এই মিডফিল্ডার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, এলএ গ্যালাক্সি এবং এসি মিলানের হয়ে খেলেছেন। তার পায়ের নিখুঁত ফ্রি-কিক, মাঠে অসাধারণ উপস্থিতি এবং নেতৃত্ব গুণ বিশ্ব ফুটবলকে মুগ্ধ করেছে।

মাঠের বাইরেও তার অবদান কম নয়। ইউনিসেফ-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিশ্বজুড়ে শিশুদের অধিকার ও উন্নয়নে কাজ করছেন বেকহাম। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমাজসেবামূলক প্রকল্পে যুক্ত থেকেছেন তিনি বহু বছর ধরে। ফুটবল পাড়ার বাইরেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সম্মান অটুট।

নাইটহুড সম্মান পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় বেকহাম বলেন, ‘এটা শুধু আমার জন্য নয়, এটা আমার পরিবারের জন্য, আমার সতীর্থদের জন্য, ইংলিশ ফুটবলের জন্য। আমি গর্বিত এবং কৃতজ্ঞ।’

বেকহামের পোশাক থেকে চুলের ছাঁট—ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু থেকেছে সব সময়ই। নিজেকে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে পরিণত করা সাবেক এই ফুটবলারকে প্রতিকূল পরিস্থিতিও পার হতে হয়েছে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নকআউট ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় ইংল্যান্ডের ‘সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ’–এর ট্যাগ পেয়েছিলেন বেকহাম।

২০১২ অলিম্পিক আয়োজনের স্বত্ব লন্ডনকে পাইয়ে দেওয়ায় বড় অবদান ছিল বেকহামের। তখন থেকেই নাইটহুড পাওয়ার আলোচনায় ছিলেন তিনি। তবে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তার নাইটহুড পাওয়ার প্রক্রিয়া থামিয়ে দিয়েছিল যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ। পরে অভিযোগটি থেকে খালাস পান বেকহাম।

ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ডেভিড বেকহাম হলেন সেই বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি মাঠ ও মাঠের বাইরে একইভাবে ইতিহাস গড়েছেন। এখন থেকে তিনি কেবল ডেভিড বেকহাম নন, তিনি ‘স্যার ডেভিড বেকহাম’।


সর্বশেষ সংবাদ