শীতে শিশুর ঘন ঘন সর্দি-কাশি? সুস্থ রাখতে ভরসা রাখুন ৫ পুষ্টিকর খাবারে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১২ PM
শীতের হিমেল হাওয়া শুরু হতেই ঘরে ঘরে শিশুদের মধ্যে সর্দি, জ্বর আর গলা ব্যথার প্রকোপ বেড়েছে। বড়দের তুলনায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে তারা সহজেই ভাইরাসের কবলে পড়ছে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে একবার সংক্রমণ হলে তা সারতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে, যা কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে অভিভাবকদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেম পুরোপুরি পোক্ত হতে সময় লাগে। ফলে শীতে কান ব্যথা, গলা খুসখুস বা বুক জমার মতো সমস্যাগুলো বারবার ফিরে আসে। তবে দুশ্চিন্তা না করে শিশুর দৈনন্দিন অভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সঠিক পুষ্টি, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে খুদেদের শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
শীতের এই মৌসুমে আপনার সন্তানকে সুস্থ ও চনমনে রাখতে পাতে রাখা চাই বিশেষ কিছু খাবার। প্রকৃতিতে পাওয়া সহজলভ্য এমন ৫টি খাবার রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবেই শিশুদের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে আপনার শিশু এই শীতেও থাকবে রোগমুক্ত ও প্রাণবন্ত।
আমলকি: ভিটামিন সি-এর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক উৎস এটি। এটি শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা সরাসরি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিটামিন সি ছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভরা আমলকি হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনে।
হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক। এটি ঠান্ডা লাগা, সর্দি ও কাশির প্রবণতা কমায়।
ঘি: ভিটামিন এ, ডি এবং ই সমৃদ্ধ ঘি ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। তা ছাড়া একটানা কাশির ফলে গলায় প্রদাহ, জ্বালা ধরে ব্যথা হতে পারে। গলাকে আরাম দিতে পারে ঘি।
গুড়: সব বয়সের মানুষই শীতে শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদির প্রকোপে নাজেহাল হন। সে সময়ে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন পরিপূর্ণ গুড় খেলে শরীরে জোর পাওয়া যায়। উপরন্তু রক্তাল্পতা দূর করে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। ফলে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা কমে।
সজনে: পাতা হোক, বা ডাঁটা, ফুল হোক গুঁড়ো— সজনে যে কোনও রূপে খেলেই একাধিক উপকার। দুধের চেয়ে বেশি ক্যালশিয়াম এবং কমলালেবুর চেয়ে বেশি ভিটামিন-সি থাকে এতে। ফলে শিশুদের খাওয়াতে পারলে শ্বাসকষ্ট ও ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সহজে দূরে রাখা যায়।