৫ শারীরিক সমস্যায় ওটস খাওয়া হতে পারে বিপজ্জনক

ওটস
ওটস  © সংগৃহীত

স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের কাছে ওটস একটি  জনপ্রিয় খাবার। এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যাভিন্যানথ্রামাইডসহ নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। দ্রুত ওজন কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার। স্বাস্থ্যকর হলেও ওটস ৫ শ্রেণির মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

চলুন জেনে নিই কাদের জন্য ওটস ক্ষতির কারণ হতে পারে

গ্লুটেন অ্যালার্জি বা সিলিয়াক রোগ:
অনেকেরই গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে। এটি এক ধরনের প্রোটিন যা বেশি খেলে অনেকের শরীরেরই অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। খাদ্যনালির ক্ষুদ্রান্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির (মিউকাস মেমব্রেন) ক্ষতি হয় এবং তা খসে যেতে থাকে। এর কারণ পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা এবং ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। একে সিলিয়াক রোগ বলে। এই রোগে ভুগলে মুখে-জিভে ছোট আলসারও হতে পারে। এমন সমস্যা থাকলে ওটস না খাওয়াই ভালো। 

আইবিএস রোগীদের:
ফাইবার হজমে সহায়ক হলেও, অত্যধিক ফাইবার ‘আইবিএস’ রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আর ওটসে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। এতে পেট ফাঁপা, গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি থাকে। 

ডায়াবেটিস থাকলে:
ওটসে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বেশি থাকে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া ওটস না খাওয়াই ভাল।

খনিজের ঘাটতি:
কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাট সব বাদ দিয়ে শুধু ওট্স খাওয়া শুরু করলে শরীরে খনিজ উপাদানগুলির ঘাটতি হবে। ওটসে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম, আয়রন ও জিঙ্কের শোষণে বাধা দেয়। তাই বেশি পরিমাণে ওটস খেলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা:
ওট্স মানেই হাই-ফাইবার ডায়েট। যারা বেশি ফাইবার খেতে অভ্যস্ত নন, তাদের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা আরও বেড়ে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ