টানা ২ সপ্তাহ চিয়া সিড খেলে শরীরে যেসব পরিবর্তন ঘটবে

চিয়া সিড
চিয়া সিড  © সংগৃহীত

স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে চিয়া সিড একটি পরিচিত নাম। অতিপরিচিত এই বীজের রয়েছে নানা উপকারিতা, তবে কিছু অপকারিতাও আছে। এতে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যার ফলে শরীরের সামগ্রিক সুস্থতায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।

চিয়া সিড নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস শরীরের হজমশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হাড়কে করে মজবুত, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। তবে অতিরিক্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। একটানা অনেক বেশি চিয়া সিডস খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা কিংবা ডায়রিয়ার মতো সমস্যার আশঙ্কা থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চিয়া বীজ নিজের ওজনের তুলনায় ১২ গুণ বেশি পানি শোষণ করতে পারে। ফলে এটি খেলে শরীর দীর্ঘ সময় হাইড্রেটেড থাকে, পানিশূন্যতার সম্ভাবনা কমে। এতে থাকা ফাইবার ও ওমেগা-৩ হজম প্রক্রিয়াকে সহায়ক করে তোলে। প্রতিদিন নিয়ম করে দুই সপ্তাহ চিয়া সিডস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভব হয়। ফলে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের পথ সহজ করে তোলে।

শুধু শরীর নয়, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও চিয়া সিড ভূমিকা রাখে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের গঠন ও উজ্জ্বলতায় সহায়তা করে। নিয়মিত গ্রহণে ত্বক আরও প্রাণবন্ত এবং সুস্থ দেখাতে পারে।

চিয়া সিড খাওয়ার সবচেয়ে উপযোগী সময় হলো সকাল। সকালের নাশতায় এটি গ্রহণ করলে সারাদিন শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য খালি পেটে ভেজানো চিয়া সিড খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে রাতে এটি গ্রহণ না করাই ভালো, কারণ রাতে খেলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চিয়া সিড স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হলেও এর পরিমাণ ও সময় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়মে প্রতিদিন গ্রহণ করলে এটি শরীর ও ত্বকের জন্য একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক উপকারক হয়ে উঠতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ