চৈত্র সংক্রান্তি আজ

চৈত্র সংক্রান্তি
চৈত্র সংক্রান্তি  © সংগৃহীত

আজ চৈত্র সংক্রান্তি। চৈত্র মাসের শেষ দিন। আবার বাংলা ১৪২৮ সন ও বসন্তেরও শেষ দিন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৯। ‘জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানাবে বাঙালি।

চৈত্র সংক্রান্তি পুরাতনের বিদায়ে নতুনকে স্বাগত জানানোর এক মেলবন্ধন। গ্রামীণ জনপদের নানা আয়োজন এখন শহুরে মিলনায়তনে বন্দি হলেও, প্রাণ-প্রকৃতি আর তার সাথে মিশে থাকা মানুষদেরও আগ্রহের কমতি নেই। মেলা, মুড়ি, মুড়কি, মন্ডা মিঠাইসহ নানা আয়োজনে মুখর হবে গ্রামীণ জনপদ।

তবে কৃষকের কাছে নতুন বছরের প্রত্যাশা মানেই ফসলের মাঠে নতুন ফলনের খুশি। সেই ফলনেই নির্ধারিত হয় কেমন যাবে তাদের পুরোটা বছর। স্বপ্ন দেখেন বিগত দিনের চেয়ে আরেকটু ভালো থাকার। তাদের শ্রম-ঘাম আর মায়ায় জীবন উপন্যাসের পাতায় পাতায় লেখা হয়ে বেঁচে থাকার গল্প।

এই দিনটিকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসাহ ও আনুষ্ঠানিকতা বরাবরের মতোই বেশি। ভাই ফোটা, চৈত্র সংক্রান্তি পূজা, বৈশাখী মেলার আবহে ঘরে ঘরে তৈরি হয় খই, মুড়ি, মুড়কিসহ নানা মুখরোচক খাবার।

বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরোনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন। পুরোনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন হালখাতা খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। নতুন বছরের প্রথম দিনে হালখাতা খোলা হয়।

আরও পড়ুন- ক্লাস বন্ধ রেখে উকুন খোঁজা: সব সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলি

দেশের বিভিন্ন স্থানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা উপলক্ষ্যে গৃহস্থরা মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নতুন পোশাক পরিধানের রীতি তো বহু আগে থেকেই।

গত দুবছর করোনা সংক্রমণ রোধে পহেলা বৈশাখসহ সব ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে এবার অনেকটা করোনামুক্ত পরিবেশেই চৈত্র সংক্রান্তি এবং বাংলা নববর্ষ পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার ছায়ানটের অনুষ্ঠানসহ বর্ণিল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।


সর্বশেষ সংবাদ