মাতৃভাষা দিবসে হাবিপ্রবিতে দৃষ্টি কেড়েছে ‘বাংলা বর্ণমালা’

মাতৃভাষা দিবসে হাবিপ্রবিতে দৃষ্টি কেড়েছে ‘বাংলা বর্ণমালা’
মাতৃভাষা দিবসে হাবিপ্রবিতে দৃষ্টি কেড়েছে ‘বাংলা বর্ণমালা’  © টিডিসি ফটো

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নানান রঙের বাংলা বর্ণমালা শোভা পাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষক ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি) ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এমন দৃষ্টিনন্দন শিল্পকর্মের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলা বর্ণমালা তৈরির কাজ শুরু করে বিভাগটি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি থাকলেও হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের নজর কাড়ে দৃষ্টিনন্দন এসব বর্ণমালা। দিনের বিভিন্ন সময় বাংলা বর্ণমালার সাথে ছবি তুলতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ বলেন, বর্ণমালা থেকেই ভাষার সৃষ্টি, আর ভাষার সাথেই মিশে রয়েছে একটি দেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। আমাদের বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে আমাদের আবেগ, অনুভূতি সবার থেকে ভিন্ন। কেননা ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে এমন দেশ আর একটিও নেই।

তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালির গর্বের দিন। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ, সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যে বর্ণমালা থেকে ভাষার সৃষ্টি তা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দিতেই বর্ণমালা দিয়ে শহিদ মিনার সজ্জিত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক এর শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা বর্ণমালা লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেন তাদের মনে এই ভাষা ও সংস্কৃতির শিকড় গেথে থাকে আজীবন।

আরও পড়ুন: মাতৃভাষার জন্য জীবন দান বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ঘটনা: চবি ভিসি

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণমালা প্রদর্শনী সম্পর্কে তিনি বলেন, মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামানের উৎসাহ ও নির্দেশনা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাই উপাচার্য মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে আমাদের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে বর্ণমালা দিয়ে শহীদ মিনার সজ্জিত করার কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ব্যতীক্রমধর্মী এমন আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী গোলাম ফাহিমুল্লাহ আল মুজাহিদ বলেন, ভাষা শহীদরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলা ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আমাদের উচিত সেই বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত রাখা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন আয়োজন দেখে আমি অত্যান্ত আনন্দিত।

এদিকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান। এরপর যথাক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, ডিনবৃন্দ, অনুষদীয় সমিতি সমূহ, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদ, হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য, শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) নিচতলায় শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ১১টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন হাবিপ্রবির উপাচার্য।


সর্বশেষ সংবাদ