ভিসির পদত্যাগের দাবিতে প্রয়োজনে গণঅনশনে যাবেন আন্দোলনকারীরা
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৯ PM
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবার গণঅনশনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সামিউল সাফিন, ইফতেখার আল মাহমুদ ও সামিরা ফারজানা এই তিনজন এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
এতে বলা হয়, শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ৭৪ ঘন্টা টানা অনশন করে শিক্ষার্থীরা যখন মৃত্যুর দোর গোঁড়ায়, এখনও ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নির্বিকার এবং উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। এবং শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে দেখে গণঅনশনে বসার সংকল্প নিয়েছে। আর সময়ক্ষেপণ না করে উপাচার্যকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, না হয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ভার ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে নিতে হবে। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ সচক্ষে না দেখা পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে।
আরও পড়ুন: আবারও আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী
বিবৃতিতে বলা হয়, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বিনা উস্কানিতে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ করিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করিয়েছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা যখন হাসপাতালে লাইন ধরছে, তখন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করেন। এই ঘটনার বানোয়াট মনগড়া বর্ণনা দেন। এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় তিনি শিক্ষার্থীদের দায়ী করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে একেবারে শুরু থেকেই কোনো সন্দেহ নেই যে, ভিসি মিথ্যুক-নির্লজ্জ ও অযোগ্য ব্যক্তি!
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীরা ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পদত্যাগের আন্দোলনে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা অনশনের ঘোষণা দেয় এবং ২৩ জন শিক্ষার্থী ৭৫ ঘণ্টার বেশি সময় অনশনে থাকলেও এখন পর্যন্ত এই উপাচার্য পদত্যাগ করেননি।
আরও পড়ুন: সভা হয়েছে, ৩৪ ভিসির পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হয়নি
বিবৃতিতে বলা হয়, এরইমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী সমস্যা নিরসনে শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানালে শিক্ষার্থীরা সম্মত হলেও অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেটে এসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ অবস্থা স্বচক্ষে দেখে যাওয়ার অনুরোধ করেন। নয়তো অনলাইনে কথা বলার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। ২১ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানানোর পরও এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।